“আলো আসবেই” গ্রুপের অন্যতম সদস্য পরিচালক যুবরাজ খান প্রকাশ্যে থাকলেও আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে Mijanur Mijanur Rahman প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২৫ বিশেষ প্রতিনিধি ক্রাইম পেট্রোল ডট নিউজ জুলাই ২৪ এর ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ নেমে এসেছিল রাস্তায়। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী যখন নির্বিচারে জনগণের উপর গুলি চালাচ্ছিল তখন এক দল নাট্য ও চলচ্চিত্র কর্মী ” আলো আসবেই ” নামক এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সেখানে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পক্ষে বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালানো সহ কিভাবে আন্দোলন বাঞ্জাল করা যায় সে বিষয়ে নানাবিদ পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।সে গ্রুপের সদস্যরা আন্দোলন বানচাল করার জন্য গরম পানি ছিটানো সহ বিভিন্ন রকম লোমহর্ষক পন্থার পরামর্শ দেন।অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু সামাজিক মাধ্যমে নয় বরং স্বৈরাচারী আওয়ামী এমপি ইলিয়াস মোল্লার সাথে এক হয়ে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর নির্যাতনে নেতৃত্ব দেন যুবরাজ খান। ৫ ই আগষ্ট শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালানোর পর উঠে আসে এই “আলো আসবেই” গ্রুপের স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে কাজ করার প্রমাণ। প্রশাসন ৮ জনের নাম ঘোষণা করেছে যারা এই গ্রুপ লিড দিয়েছিলেন।তাদের মাঝে একজন হল নাট্য পরিচালক যুবরাজ খান। জানা যায়, এই গ্রুপের অন্যতম সদস্য চলচ্চিত্র অভিনেতা শমী কায়সার,ফেরদৌস,রিয়াজ এবং নাট্য অভিনেতা সাজু খাদেমের খুব কাছের সহচর ছিলেন পরিচালক যুবরাজ খান। তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে অর্থ যোগান দিয়েছেন বলে জানা যায়। এবং এই অর্থ যুবরাজ খানকে যোগান দিয়েছেন তার বড় বোন মাহফুজা খান (পাসপোর্ট নাম) অরফে লুসি। তিনি বর্তমানে সুইডেনে বসবাসরত। খোজ নিয়ে জানা যায়, অভিনেতা সাজু খাদেম এর সাথে এই যুবরাজ খানের একান্ত ব্যবসা ছিল। যার ব্যাংক স্টেটমেন্ট সাংবাদিকদের কাছে এসে পৌঁছেছে। মিরপুর রুপনগরে ( দিগন্ত, বাসা নং ১৫, রোড নং ১৫, রূপনগর আবাসিক এরিয়া, ঢাকা) বসবাসরত যুবরাজ ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের বিপরীত সত্তায় কাজ করার পরও নিজ বাসায় বহাল তবিয়তেই আছেন। ইতিমধ্যে তিনি ফ্ল্যাট আর গাড়ির মালিক বনে গেছেন তিনি। জানা যায়, তিনি এবং উপস্থাপক এবং অভিনেতা শাহরিয়ার জয় একই বিল্ডিং এ থাকার সুবাদে তাদের সাথে খুব ভালো সাক্ষ্যতা ছিল। বর্তমানে তিনি মিরপুর বিএনপি তে যোগদান করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে খবর পাওয়া যায়। তার অতীত অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার জন্য তিনি লাখ লাখ টাকা খরচ করছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে। অতি শীঘ্রই তিনি দেশ থেকে পালানোর কথা চিন্তা করছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। তার একনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেতা সাজু খাদেম আমেরিকা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নাট্য পরিচালক যুবরাজ খান বারবার দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সুইডেন ফ্রান্স সহ বিভিন্ন দেশে কন্ট্রাক করার চেষ্টায় ব্যস্ত তিনি। দেশ ছাড়ার জন্য ১.৫ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত তিনি দিতে রাজি আছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া যায়। SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: