প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস এর দেশ মেরামত প্রসঙ্গ “ক্ষমতার নেশায় ভুগছেন রাজনীতিবিদেরা” CP News CP News প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৫ ক্ষমতার নেশায় ভুগছেন রাজনীতিবিদেরা আমরা সাধারণ মানুষ। ত্রাহিত্রাহি অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটা মাস আমাদের অতিবাহিত হয়। এরশাদের আমলে গরীব ছিলাম, বেগম খালেদা জিয়ার আমলেও গরীব ছিলাম আর শেখ হাসিনার আমলেও এসে সেই গরীব-ই আছি। সেবক হিসাবে আপনারা হচ্ছেন আমাদের প্রভু, আমরা হচ্ছি গোলাম। আপনারা জমিদার আর আমরা প্রজা, এটাই এই বাংলাদেশের ইতিহাস। ধান্দা বাজ (সবাই না) রাজনীতিবিদদের কাজ হচ্ছে জনগণকে চুষে চুষে খাওয়া। আমাদের কাজ হচ্ছে আপনাদের জয় বাংলা ও জিন্দাবাদ বলে সমর্থন জানিয়ে পেছনে পেছনে ছুটে চলা। আমরা রাজনীতি করি না, করতেও চাই না। আপনারাই ক্ষমতার স্বাদ নিন, লুটেপুটে খান। তবে আখেরে জনগণের হকের নিষ্পত্তি কীভাবে করবেন সেটা ভেবে রাখবেন। যেহেতু আপনারা রাজনীতি করেন, সুতরাং ক্ষমতা আর চেয়ার আপনাদের জন্য চিরকালই অটুট থাকবে। দয়া করে অসুস্থ ও ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশটাকে একটু সারিয়ে তোলার সুযোগ দিন। আপনাদের দেশ সেবার ৫৪ বছরের ইতিহাস আমরা দেখেছি। এসব দেখতে দেখতে আমরা সাধারণ জনগণ ক্লান্ত ও বিরক্ত। আমাদের জন্য অনেক করেছেন আপনারা। এবার ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসকে একটু সুযোগ দিন। তিনি ফেরেশতা তা বলছি না, তবে তিনি একজন অর্থনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব, একজন নোবেল লরিয়েট। সারা বিশ্ব তাঁকে সম্মান করে। দোষের উর্ধ্বে কে ছিলেন? শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন পরিচ্ছন্ন ভালো শাসক ছিলেন অথচ তাঁকেও এই ভন্ড জাতির সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। তাদের হাতে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পল্লীবন্ধু প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, ক্লিন ইমেজের প্রতিচ্ছবি আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁরা সবাই দেশ শাসন করেছেন, ক্ষমতায় থেকে প্রধান নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন। সমালোচনার উর্ধ্বে কে ছিলেন? আমরা মানুষ, কেউ দোষের উর্ধ্বে নই। সুতরাং প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস তিনিও একজন মানুষ। তিনিও দোষের উর্ধ্বে নন, সমালোচনার উর্ধ্বে নন কিন্তু তিনি দেশের ২০ কোটি মানুষের একটি ব্র্যান্ড, সম্পদ ও অরাজনৈতিক দূরদৃষ্টি, দূরদর্শী জ্ঞানে সমৃদ্ধশালী স্বল্পভাষী ব্যক্তিত্ব।প্রধানমন্ত্রীত্ব অথবা প্রেসিডেন্ট কোন পদ দিয়ে তাঁকে জাস্টিফাই করার সুযোগ আছে? তিনি বিরল সম্মানের অধিকারী, জাতির ভাগ্যে এমন ক্ষণজন্মা মানুষ আর আসবে কিনা জানা নেই। আসুন, ভালোকে ভালো বলতে শিখি। আগেও রাজনীতিবিদদের অনেককেই চরিত্রহীন, মোনাফেক তকমা নিতে হয়েছে, এখনো ঠিক আগের মতোই এই তকমা প্রদান অব্যাহত আছে। “উদোর পিন্ডি ভুদোর ঘাড়ে” মার্কা রাজনীতি আমরা জনগণ আর চাই না। একটা গুণগত পরিবর্তন চাই। পুরনো সব জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বাদ দিয়ে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন ব্যবস্থাপনায়, নতুন উদ্যমে, নতুন ইউনিক আইডিয়া নিয়ে দেশ সেবা করার ব্রতী নিয়ে এগিয়ে আসুন, দেখবেন জনগণ আপনাদেরকে স্বাগত জানিয়ে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখবে। নির্বাচনের তারিখ নিজেরাই দিয়ে দিলে, নিজেই শপথ নিয়ে চেয়ারে বসে গেলে “জোর যার মুল্লুক তার” নীতির প্রতিফলন ঘটবে। ২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থান কি এই নীতিকে লালন করে? শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান না থাকলেও তাঁর উত্তরসূরীরা এখনো জীবিত আছেন। আপোষহীন নেত্রী যদি ক্ষমতা চাইতেন তাহলে তো ১/১১ র সরকার আদালত কর্তৃক “রং হেডেড” ঘোষিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতেন না। তাহলে আজ কেন একজন সম্মানিত মানুষকে নানাভাবে বিতর্কিত করে ক্ষমতার যাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন? জনগণের উপরে আস্থা রাখুন, নিবেদিত থাকুন, মানুষের কল্যাণে কাজ করুন। সকল দল দেশের সার্বভৌমত্বের ঐক্যের প্রশ্নে দৃঢ় থাকুন। আগামীতে দেশের নেতৃত্ব বিএনপি দেবে বলেই অধিকাংশ মানুষ করে, তাহলে তড়িঘড়ি কেন? একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পথেই সরকার আগাচ্ছে। সুতরাং প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসকে দেশ মেরামতের একটা সুযোগ করে দিন। লেখকঃ এম এফ ইসলাম মিলন ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট E-mail: mfimilon@gmail.com SHARES মতামত বিষয়: #Banglanews#BNP#DrYunus#JamaateIslami#jamaat_shibir_online