প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরীয়ান্স।

প্রকাশিত: ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারের আসরের শুরুটা আশানুরূপ না হলেও তিন ম্যাচ পরই ছন্দ ফিরে পায় দলটি। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৭.১ ওভারে ১২৫ রানে অল আউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাবে ছয় উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় কুমিল্লা। বাকি ছিল আরো ২০ বল।
ম্যাচ হারলেও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়নি সিলেট। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মঙ্গলবার রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে তারা। সে ম্যাচের জয়ী দল বৃহস্পতিবারের মেগা ফাইনালে কুমিল্লার বিপক্ষে লড়বে।
রান তাড়া করতে নেমে এদিন ঝড় তোলেন সুনীল নারিন। মাত্র ১৮ বলে তার ৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস শুরুতেই সিলেটকে ছিটকে দেয়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে কুমিল্লা উইকেট হারালেও জয়ের পথে সেটি কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেনি।
দলের অন্যদের মাঝে মঈন আলী ২১, ইমরুল কায়েস ১৩, লিটন দাস ৭ ও জনসন চার্লস ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। রানের খাতা খোলার আগে আউট হন জাকের আলী। আন্দ্রে রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

ম্যাচ শেষে সৈকত ২৭ ও রাসেল ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের হয়ে রুবেল হোসেন তিনটি এবং শফিকুল্লাহ গাফারি ও তানজিম হাসান সাকিব একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার নেতৃত্বে থাকা ইমরুল কায়েসে। তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণেই যেন মাঠে নামে তার দল। যেখানে ১৬ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় সিলেট।
শফিকুল্লাহ গাফারি ৫ ও জাকির হাসান ২ রান করলেও এদিন খাতা খোলার আগেই রান আউট হন তৌহিদ হৃদয়। দলের বিপদের মুহূর্তে নিজেকে উপরে এনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
মাশরাফী আউট হওয়ার পর শান্ত ও মুশফিকুর রহিম ছাড়া কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন শান্ত। এছাড়া মুশফিক ২৯ ও জর্জ লিন্ডে খেলেন ১৩ রানের ইনিংস।
শেষদিকে আর কেউই বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। কুমিল্লার হয়ে তানভীর ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল ও মুস্তাফিজুর রহমান দুটি করে এবং মঈন আলি ও মুকিদুল ইসলাম একটি করে উইকেট শিকার করেন।