লন্ডনে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের মার্লবোরো হাউজ-এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রকাশিত: ২:০৮ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২৩

যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জন্য বড় অনুপ্রেরণা।লন্ডনে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের মার্লবোরো হাউজ-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী ও দুই মেয়ে আপনার ভক্ত।” ঋষি সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই ছিলো দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের এবিষয়ে অবহিত করেন। সাইদা মুনা তাসনিম জানান, বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে অভিনন্দন জানান।

অল্প বয়সে এশীয় ঐতিহ্যের প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনা তাকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তরুণরা কী করতে পারে, এর একটি দুর্দান্ত উদাহরণ আপনি।”

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন সুনাক। তিনি কোভিড-১৯ মহামারীর আগে ও পরে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার সাফল্যের পেছনের কারণ জানতে চান।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার জানান যে ঋষি সুনাক বলেছেন, “আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। আমাদের মধ্যে ৫০ বছরের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে; (ভবিষ্যতে) আরো ভালো হবে।”

হাইকমিশনার জানান, আগে ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আগে ছিলো সাহায্য ভিত্তিক। এখন বাংলাদেশের জিডিপির এক শতাংশ পরিমাণও, সাহায্য থেকে আসে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান বলে উল্লেখ করেন তিনি।

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগ করা উচিত।”

রাজা তৃতীয় চালর্স-এর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান যুক্তরাজ্যে এসেছেন। এর মধ্যে ঋষি সুনাক মাত্র সাতটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম।