নোয়াখালীর মাইজদীর গুলিবিদ্ধ সাবেক মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. দুলাল হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে মারা গেছেন।

প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি : নোয়াখালীর মাইজদীর গুলিবিদ্ধ সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) মো. দুলাল হোসেন (৪০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালে মারা গেছেন। সোমবার (২৯ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি আন্ডারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীন এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় বিরোধ বলে মনে হচ্ছে। ওই এলাকা বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই রাতের আঁধারে কারা তাকে গুলি করলো তা প্রশাসনকে খুঁজে বের করতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ৯টার দিকে এলাকায় সালিশি বৈঠক শেষে বাসায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৯ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, দুলাল মেম্বার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে সোমবার সকালে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত সন্দহভাজন দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত্যুর পর মামলার ধারা পরিবর্তন হয়ে যাবে।
দুলাল হোসেনের শ্যালক মো. হানিফ বলেন, ‘আমার দুলাভাই আগামী নির্বাচনে আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি এক সালিশি বৈঠক শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তার বুকের বাম পাশ ও ডানহাতে ৩টি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান তিনি’।
হানিফ আরও জানান, তার দুলাভাই নোয়াখালীর ২০ নম্বর আন্ডার চর ইউনিয়নের মো. নূর ইসলামের ছেলে। তিনি চার ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নোয়াখালী থেকে সাবেক মেম্বার মো. দুলাল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।