যাত্রাবাড়ীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণের ৪ দিন পরও উদ্ধার হয়নি

প্রকাশিত: ১০:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৩

মোঃআবু কাওছার মিঠু –

যাত্রাবাড়িতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নূসরাত জাহান রিয়া (১৪) কে অপহরণের ৪ দিন পর ও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ওই শিক্ষার্থী যাত্রাবাড়ী ছনটেক মহিলা মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার পিতার নাম হামিদুল ইসলাম।

অপহৃত শিক্ষার্থীর মা আসমা বেগম বলেন,আমার মেয়ে যাত্রাবাড়ির ছনটেক মাদ্রাসায় হাফেজী শেষ করে ওই মাদ্রাসায় ৬ষ্ট শ্রেণিতে পড়েন। মাদ্রাসার আবাসিক হোষ্টেলেই থাকতেন। যাত্রাবাড়ির শেখদির এলাকায় ভাড় থাকি।

২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার আমার মেয়ে মাদ্রাসার হোষ্টেল থেকে বাসায় আসে। ২৯ জুলাই শনিবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় শেখদি এলাকার পিয়াম নামের একটি ছেলে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর রাতেই যাত্রাবাড়ি থানায় অভিযোগ করি। পরে থানার একজন এস আই তুহিন স্যার ওইদিন রাতেই অপহরণকারী ছেলের বাসায় যান। পরের দিন ৩০ জুলাই আবার থানায় যাই। থানায় আমার

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা না করে সাধারণ ডায়েরী করেন। যার জিডি নং- ২৭৭৭, তারিখ ৩০/০৭/২০২৩ইং। জিডি করার পর এসআই মোস্তাফিজুর রহমান অপহরণকারীর বাসায় যান। সেখানে গিয়ে কি করেছে জানিনা।
কিন্ত ৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
আমি ১ আগষ্ট মঙ্গলবার আবার থানায় গিয়েছি। আমার মেয়েকে পেতে পুলিশের কাছে কান্নাকাটি করেছি। বুধবার বিকেলে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান আমার বাসায় এসে বলেন, আপনি থানায় আসেন। আসার সময় টাকা-টুকা নিয়ে আইসেন। মামলা করতে কিছু টাকা লাগবে। এদিকে অপহরণকারী ছেলের মামা খোকন আমাকে দেখে নেয়ার হুমকী দিচ্ছে।

এসআই মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, জিডির বাদী আসমা আক্তারকে বলা হয়েছে আসামী দুরে আছে। সেখানে টিম নিয়ে যেতে একটা মাইক্রোবাস বা গাড়ি যেটা ভাড়া করবে প্লাস ৮/১০ জন লোক যাব। কোন টাকা চাইনা। থানায় মামলা করতে কোন টাকা লাগেনা। এখন থানায় আসলে এখনই মামলা করা হবে।
যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুল আলম বলেন, এ ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। মেয়েকে উদ্ধারের পর থানায় মামলা করা হবে। মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

ওয়ারী জোনের উপ পুলিশ কমিশনার জিয়াউল আহসান তালুকদার বলেন,অপহৃত শিক্ষার্থীর মাকে থানায় ডেকে মামলা নেয়া হবে এবং তার মেয়েকে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।