ফেনীর পরশুরামে ফার্মেসী মালিকদের এক রেটের এমআরপি বানিজ্য।

প্রকাশিত: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৩

শিবব্রত (বিশেষ প্রতিনিধি)
************************************

পরশুরামে ফার্মেসী মালিকরা এমআরপি (মার্কেট রিটেল প্রাইজ) সিন্ডিকেট করে ক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির নামে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিক্রেতারা কমিশন না দিয়ে নামিদামি কোম্পানীর ছাড়াও অখ্যাত, ভেজাল ও নিন্মমানের ঔষধের গায়ে লেখা মূল্যে কিনতে বাধ্য করছে ক্রেতাদের। এতে করে সাধারণ মানুষের ঔষধ ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি রমরমা এমআরপি অধিক বানিজ্যে লাভবান হচ্ছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি পরশুরাম উপজেলা এক ঘোষণার মাধ্যমে বাজার নির্ধারিত (এমআরপি) মূল্যে সকল ফার্মেসীতে ঔষধ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এতে সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পরে। বিশেষ করে যে সকল পরিবারে ডায়াবেটিকস, কিডনি ও হার্টের রোগী রয়েছে তাদের ঔষধ কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
যেখানে পূর্বে ৫ হাজার টাকার ঔষধ কিনলে প্রায় ৩শত টাকা কমিশন পাওয়া যেত। সেখানে বর্তমানে কোন কমিশন দেয়া হচ্ছে না। এমনকি অখ্যাত কোম্পানীর নিম্নমানের ঔষধের দাম গায়ে লেখা মূল্যে ফার্মেসীগুলো বিক্রি করছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ধরণের ঔষধে প্রায় ৫০ ভাগ কমিশন থাকে। তাই ক্রেতাদের জিম্মি করে ফার্মেসী মালিকরা এমআরপি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফয়দা লুটে নিচ্ছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন ফার্মেসীতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ফার্মেসিতে একই পন্থায় ঔষধ বিক্রি হচ্ছে। পরশুরামের ঔষধ ব্যবসায়ীরা একে পুঁজি করে সব ধরণের ঔষধ বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির কথা প্রচার করছে।
ক্রেতা রহিমা আক্তার বলেন, এভাবে ঔষধ বিক্রিতে কমিশন বন্ধ করা অন্যায়। এতে করে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে।
অন্য এক ক্রেতা কানু লাল বলেন, আমাদের পরিবারে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকার ঔষধ লাগে। কিন্তুু এ ভাবে এক রেটে ঔষধ বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।
মজুমদার ফার্মেসি, সরকার মেডিকেল হল,আলো ফার্মেসি ,বিএম মেডিকেল হল সহ মেডিসিন ট্রেডার্সের মালিক বলেন, “কোম্পানীগুলো আমাদের লাভ দিচ্ছে শতকরা ১০ভাগ। এ দিয়ে ক্রেতাদের কিছু ছেড়ে দিলে ব্যবসায় বিভিন্ন খরচ করে টিকে থাকা যায়না।”
এ বিষয়ে পরশুরাম কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি পিয়াস বলেন, বাজারে কোম্পানী নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রি করা আমাদের সমিতির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। তবে কেউ নিম্নমানের ঔষধ বিক্রি করলে তার দায় সমিতি নিবেনা।