চেয়ারম্যানের আত্মসমর্পণ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৩ ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২০ বছর পর চট্টগ্রামের জামাল উদ্দিন চৌধুরী অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি আবুল কাশেম চৌধুরী ওরফে কাশেম চেয়ারম্যান আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন কাশেম চেয়ারম্যান। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ। চেয়ারম্যান এ মামলার অন্যতম আসামি। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা এবং ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। ২০০৩ সালে চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছিল। নগরী থেকে অপহরণের পর তাকে ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ও আশপাশের দুর্গম এলাকায় আটকে রাখে অপহরণকারী চক্র। পরে র্যাব সেখানকার একটি টিলা থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই এ অপহরণের ঘটনায় কাশেম চেয়ারম্যানকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। ওই সময় তার বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। জনশ্রুতি রয়েছে, ঘটনার পর কাশেম চেয়ারম্যান বিদেশ চলে যান। পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বর্তমানে মামলাটির বিচার চলছে। মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের ‘জবলে রহমত’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ব্যবসায়ী জামালউদ্দিন। তিনি আনোয়ারা থেকে বিএনপির এমপি পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসাবে তার পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা দাবি করেছিল। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণকারী চক্রকে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকাও দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মুক্তি দেওয়া হয়নি। তার পরিবার অভিযোগ করেছিল, জামাল উদ্দিনের মনোনয়ন ঠেকাতে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাকে অপহরণ ও হত্যার পর লাশ গুম করে। অপহরণের দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট র্যাবের হাতে গ্রেফতার কালা মাহবুব নামে এক আসামি ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর এলাকায় গহিন পাহাড়ে জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল দেখিয়ে দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। সেখান থেকে উদ্ধারের পর ডিএনএ পরীক্ষায় পরে কঙ্কালটি জামাল উদ্দিনের বলে প্রমাণিত হলে মামলায় হত্যার ধারা সংযুক্ত করা হয়। মামলাটির বিচার কার্যক্রমের ওপর দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। পরে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ২০১৮ সালে বিচার শুরু হয়। SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: