সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

প্রকাশিত: ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ১, ২০২৪

ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে নানা অনিয়ম ও অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রুহুল হক।গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়।

প্রায় দুই বছর আগে কামরুন নাহারের একটি অডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। অডিও’র সেই বক্তব্যে একজনকে ধমক দিয়ে বলছিলেন যে তিনি বালিশের নিচে পিস্তল রেখে ঘুমান।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহার প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনের আদেশ ভঙ্গ করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৭২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন। মন্ত্রণালয়ের এ আদেশ ভঙ্গ করে তিনি অসদাচরণ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় পাওয়া যায়, মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল—কোনও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি কোনও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবে না। তারপরও কামরুন নাহার ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি স্কুলের অভ্যন্তরীণ নোটিশ বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন এবং একক স্বাক্ষরে ৭২ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষক অবসর গ্রহণ করার কারণে নতুন করে এনটিআরসির মাধ্যমে শূন্যপদে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অস্থায়ীভাবে। স্কুল ফান্ড থেকে এদের যাবতীয় বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। এই অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের অব্যাহতি প্রদান বা পরবর্তীকালে এনটিআরসির মাধ্যমে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কামরুন নাহার। যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের কোনও ধরনের লিখিত কিংবা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। শুধু অল্প কয়েকজনের ডেমোনেস্ট্রেশন ক্লাস নেওয়া হয়েছিল।

এতে পরবর্তী সময়ে এসব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন প্রদান নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তিনি শিক্ষক নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের নীতিমালাকেও চরমভাবে  উপেক্ষা করেছেন বলে প্রমান পাওয়া যায়।

মামলার তদন্তকালে এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও  জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।