মুক্তিযোদ্ধার কোটায় সরকারী চাকরী পাওয়া আলী ইসলামের ওয়ারিশ সনদ জাল Abu Kowsar Abu Kowsar Mithu প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৩ ডেক্স রিপোর্ট : মুক্তিযোদ্ধার কোটায় সরকারী চাকুরী পাওয়া আলী ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির মুক্তিযোদ্ধার ওযারিশ সনদ জালের প্রমান পাওযা গেছে বেকারত্বের কারনে বাংলাদেশের শিক্ষিত বেকার গোষ্ঠীর জীবন-যাপনে যখন নাভিশ্বাস অবস্থা। প্রতি বছর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক,সমাজ ও দেশের বোঝা হয়ে অসহনীয় কষ্টের মাঝে মানবেতর জীবন যাপন করছে,তখনই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসল মহান বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদের অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে কিভাবে সরকারি চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা সনদ সুত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.লাল খান, পিতা-মৃত মো. খান্দু খান, মাতা-বনা বিবি গ্রাম-আদমপুর উপজেলা-মাদারীপুর সদর জেলা-মাদারীপুর । মুক্তিযোদ্ধা লাল খান এর মৃত্যুর পর গত ১৮-১২- ২০২২ তারিখে, পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার তাজনেহার স্বাক্ষরিত ওয়ারিশ সনদে দেখা যায়, আমেনা বেগম তার স্ত্রী, লুৎফা বেগম কন্যা, মো. দেলোয়ার হোসেন পুত্র,মৃত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান পুত্র, নাজমা আক্তার কন্যা, মো. শহিদুল ইসলাম পুত্র, মনিরুজ্জামান পুত্র, মোছাঃ অনিতা আক্তার সালমা কন্যা, মোছা মনিকা কন্যা ও মো রকিবুল ইসলাম ইসলাম পুত্র । এই দশজনকে ওয়ারিশ হিসাবে দেখানো হয়েছে । এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান সাথে কথা বললে, তিনি সত্যতা নিশ্চিত করেন । বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল খানের অষ্টম সন্তান মোছাঃ মনিকার সাথে বিয়ে হয় আলী ইসলাম পিতা-মৃত সিদ্দিক মুন্সী, মাতা-তাছলিমা খাতুন নামের একজনের সঙ্গে । সেই আলী ইসলাম ১৩-০৮-২০১৮ সালে আইনজীবী অহিদুজ্জামান (বোরহান) এর মাধ্যমে সিনিয়র জজ আফিকুল ইসলাম এর আদালতে জালিয়াতি করে এফিডেভিট করে নিজের মা তাছলিমা কে বানিয়েছেন তার মৃত শশুর মুক্তিযোদ্ধা লাল খানের মেয়ে, তিনি হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার নাতিন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বর্তমানে আয়কর অফিসের কর অঞ্চল-৫, কর সার্কেল ১০৩, উপকর কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসানের অধীনে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকের সাথে উল্টাপাল্টা কথা বলেন । একবার বলে শ্বশুর হয়,আবার বলে নানা হলে সমস্যা কি? আলী ইসলাম কেরানীগঞ্জের মীরের বাগে কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন এবং যাএাবাড়ীতে রয়েছে তার একাধিক আলীশান প্লট ও ফ্ল্যাট। জমির বিষয় প্রশ্ন করলে বলেন, “বুঝেছি আমার ঐ বেয়াদব,হিংসুক ভাইরা আপনাকে সকল তথ্য দিয়েছেন।” আলী ইসলামের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কিভাবে সে এগুলো ম্যানেজ করে চাকরি করে। উত্তরে বলেন আমার মামা সবকিছু জানে । একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে , সব মিলিয়ে ১৩/১৪ জন সরকারি চাকরি করছেন । আমাদের এবারের অনুসন্ধান কে এই মামা,কে সে মাস্টারমাইন্ড । আর কত জনই বা চাকরি করছে একই মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে, আগামী পর্বে বিস্তারিত আসছে । SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: