ঢাকার কেরানীগঞ্জে সোর্স ও পুলিশের মধ্যে ইয়াবা বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্ব,শেষে সোর্সকে মামলা দিয়ে কোর্টে সোপর্দ।

প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ সেন্ট্রাল রোডের বড়ইতলা বসবাস করেন ফিরোজ চৌধুরী ওরফে আসিফ চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাসিমা।গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়। স্বামী স্ত্রী উভয়ই পুলিশের সোর্স ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। ১৬ ডিসেম্বর টেকনাফের গুদাই বিল এলাকার আশিকুর রহমান ৪০০০ পিস ইয়াবা নিয়ে ফিরোজ চৌধুরী ওরফে আসিফ চৌধুরীর বাসায় উঠে। স্বামী-স্ত্রী ৪০০০ পিচ ইয়াবা মেরে দিয়ে আশিকুর রহমানকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই আজাদের সাথে শলা পরামর্শ করে এবং ১৮ ডিসেম্বর রাতে ফিরোজ চৌধুরী ওরফে আসিফ চৌধুরীর বাসা হতে আসিফ চৌধুরী সহ আশিকুর রহমানকে আজাদ গ্রেপ্তার করে। এসআই আজাদের সাথে কথা ছিল ফিরোজ চৌধুরী ওরফে আসিফ চৌধুরীকে পথিমধ্যে ছেড়ে দিয়ে শুধু আশিকুর রহমানকে কোর্টে শোপর্দ করবে । কিন্তু বিধি বাম -ফিরোজ চৌধুরী ওরফে আসিফ চৌধুরীর স্ত্রী নাসিমা ৪০০০ পিসি এবার বিক্রি করে দিয়ে এসআই আজাদকে মনোপুত টাকা না দিলে এসআই আজাদ সোর্স ফিরোজ ওরফে আসিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এস আই আজাদ আশিকুর রহমানকে পাঁচশত পিস ড্যামেজ ও নিম্নমানের তার সংগৃহীত ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে কোর্টে সোপর্দ করে এবং ফিরোজ চৌধুরী ওরফে আসিফ চৌধুরীকে অন্য মামলা দিয়ে কোর্টে সোপর্দ করে এবং উক্ত মামলায় এস আই আজাদ নিজেই হন তদন্ত কর্মকর্তা। এলাকা সূত্রে জানা যায় -এক সময় এস আই আজাদ শিবচর থানায় চাকরি করার সুবাদে ফিরোজ চৌধুরী ওরফে আসিফ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী নাসিমার সাথে পরিচয় হয়। ঢাকার কেরানীগঞ্জের মডেল থানায় এস আই আজাদ যোগদানের পরে ফিরোজ চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাসিমার সাথে তার সম্পর্ক আরো উন্নত হয়। ঘটনাটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আশিকুরের পরিবার খুব শীঘ্রই সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন।