সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসীদের হামলা: ডেমরা থানার ওসি জহিরুল ইসলামের প্রশংসনীয় ভূমিকা

প্রকাশিত: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

 

এইচ,এম,রহমাতুল্লাহ: (বিশেষ প্রতিনিধি)

গত ২২ এপ্রিল ঢাকা জেলার ডেমরা থানার আওতাধীন ইস্টার্ন হাউজিং সোসাইটির ভিতর সাংবাদিক শরিফুল ইসলামের উপর আক্রমণের ভিডিও চিত্র ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ডেমরা থানায় দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ পত্রিকার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে ইস্টার্ন হাউজিং সোসাইটির অবৈধ স্থাপনার ভিডিও চিত্র ধারণ করতে যাওয়ার প্রাক্কালে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

ইতিপূর্বেও এই সন্ত্রাসীদের হাতে বহু গণমাধ্যম কর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার প্রমাণ আছে, এবং ডেমরা থানার পূর্বের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আচরণ ছিল সন্ত্রাসীদের পক্ষে সাংবাদিকদের বিপক্ষে।

বর্তমানে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব জহিরুল ইসলাম সন্ত্রাসীদের আটক করে আইনের আওতায় এনে বাংলাদেশ পুলিশের মান সম্মান রক্ষা করেছেন।

পুলিশই জনতা ” জনতাই পুলিশ ” এর বাস্তব প্রমাণ দিয়েছেন প্রশংসিত ওসি ডেমরা ‘জহিরুল ইসলাম।
গত ২৪ এপ্রিল ডেমরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধনে ডেমরা থানার ওসি’র প্রশংসিত ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

অপরাধীদের সহজেই কিভাবে আইনের আওতায় আনা যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ দিয়েছেন ওসি জহিরুল ইসলাম।

ইস্টার্ন হাউজিং সোসাইটির ভিতরে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা শোনা মাত্রই ওসি জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সন্ত্রাসীরা পুলিশকে দেখে কিছুটা তাদের বন্ধু মনে করলেও বাস্তবে তিনি ছিলেন ন্যায় বিচারকের ভূমিকায়।

পাঁচজন সন্ত্রাসীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করতে সক্ষম হন এবং বাকি পলাতক আসামিদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।

জনাব, জহিরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকরা চাঁদাবাজি করতে গিয়েছে এটা সন্ত্রাসীদের মৌখিক অভিযোগ মাত্র।
বাস্তবিক পক্ষে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের কাজে সকল প্রকার প্রসেসিং শেষ করেই ইস্টার্ন হাউজিংয়ে যায়।

ডেমরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম অপরাধীদেরকে ভুলের ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ দেয়। গণমাধ্যম কর্মীরা সোজা-সাপ্টা জানিয়ে দেয়, গণমাধ্যম কর্মীর উপর সন্ত্রাসী আক্রমণের  সঠিক আইনি বিচার চাই।

২৮/২২/২৪ মামলাটি রুজু হওয়ার পর আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়। বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জামিন নামঞ্জুর করে দেন।

এদিকে ‘সন্ত্রাসীদের পক্ষে কিছু অসাধু গণমাধ্যম নামধারী স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা লুটে নিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন!
তারা তাদের স্বার্থ আদায়ের ব্যস্ততার ভাষায় নির্যাতিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজীর দু “এক “কলাম লিখেন।

সন্ত্রাসীরা টাকার নৌকা পাহাড়ে চালানোর চেষ্টা করছেন!
তার জ্বলন্ত প্রমাণ এ সমস্ত গণমাধ্যম কর্মীরা।

যে সমস্ত আসাধু গণমাধ্যম কর্মীদের কলমের কালি নির্যাতিত’ নিপীড়িত’ লাঞ্ছিত’ সাংবাদিকের বিপক্ষে লিখে ওই কলমধারীদের অনেকেই দেশের বড় বড় মাফিয়া সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করছেন বলে প্রমাণ মিলছে।

তাদের লেখা কলামের কারণে সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে বিচারকার্য দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাংবাদিকগণ।

এই অসাধু চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন মানববন্ধন থেকে।
এরাই অপরাধমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার পিছনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

এই অপসংবাদিকতার ফলশ্রুতিতে এফডিসির ভিতরে সাংবাদিকের উপর আক্রমণের ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।

সাংবাদিক পুলিশ একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করতে হবে “তাহলে দেশের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভবপর হবে বলে মনে করছেন সাংবাদিক মহল।

তারা আরো মনে করছেন, অপরাধীদের পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষোভ ও হিংস্রতার প্রভাব দেখানোর দুঃসাহসিকতা কমে যাবে।

তারা মনে করছেন আইনের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অপসংবাদিকতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি দেশের অন্যায় অবিচার জোর জুলুম সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ বন্ধ করা সহজ হবে।