আমদানিতেও কমছে না পেঁয়াজের দাম, যা বলছেন ব্যবসায়ীরা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৪ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিও দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে গত চার দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ১৫৫২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ। তবুও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে পেঁয়াজের দাম। হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১০ জুলাই ভারতীয় ১৪টি ট্রাকে ৪০৭ মেট্রিকটন, পরদিন বৃহস্পতিবার ১০টি ট্রাকে ২৯৪ মেট্রিকটন এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার একদিনেই ১৬টি ট্রাকে ৪৫১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন। আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টন। এর আগের বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল ৩৫ লাখ টন। অর্থাৎ চাহিদার চেয়েও দেশে এখন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। সেই হিসাবে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। তবে পচনশীল পণ্য হওয়ায় মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের মধ্যে ৭ থেকে ৮ লাখ টন নষ্ট হয়ে যায়। তবে নষ্ট হওয়ায় পেঁয়াজের সমপরিমাণ আবার আমদানি করা হয় ভারত-চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। সুতরাং চাহিদার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ থাকার পর দাম বেড়েই চলেছে পণ্যটির। যা বলছেন আমদানিকারকরা দেশে পেঁয়াজের বাজারে নিয়ন্ত্রণে আমদানি বাড়ানো হয়েছে। তবে ৪০ শতাংশ শুল্কায়নে দিয়েই এসব পেঁয়াজ আমদানি করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের। ফলে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। যদি ভারত সরকার শুল্ক কমিয়ে দেয়, তাহলে দেশের বাজারে কমবে পেঁয়াজের দাম। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহীনুর রেজা শাহিন বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মোকামগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বাড়তে বাড়তে এখন দেশীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই দেশের বাজারের স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে দেশে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার নিচে নেমে আসবে। আজ রবিবার হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন সপ্তাহ আগে দেশীয় পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেই পেঁয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সেই আজ পেঁয়াজ মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ খানিকটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত যেখানে ২ থেকে ৪টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল। সেখানে গত চার দিনে ১৫৫২ মেট্রিটটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তিনি বলেন, পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য তাই কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড়করণ করা হচ্ছে। এতে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয়ও বাড়বে। SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: পেঁয়াজের দাম
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিও দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে গত চার দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ১৫৫২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ। তবুও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে পেঁয়াজের দাম।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১০ জুলাই ভারতীয় ১৪টি ট্রাকে ৪০৭ মেট্রিকটন, পরদিন বৃহস্পতিবার ১০টি ট্রাকে ২৯৪ মেট্রিকটন এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার একদিনেই ১৬টি ট্রাকে ৪৫১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন। আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টন। এর আগের বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল ৩৫ লাখ টন।
অর্থাৎ চাহিদার চেয়েও দেশে এখন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। সেই হিসাবে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। তবে পচনশীল পণ্য হওয়ায় মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের মধ্যে ৭ থেকে ৮ লাখ টন নষ্ট হয়ে যায়। তবে নষ্ট হওয়ায় পেঁয়াজের সমপরিমাণ আবার আমদানি করা হয় ভারত-চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে।
সুতরাং চাহিদার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ থাকার পর দাম বেড়েই চলেছে পণ্যটির। যা বলছেন আমদানিকারকরা দেশে পেঁয়াজের বাজারে নিয়ন্ত্রণে আমদানি বাড়ানো হয়েছে। তবে ৪০ শতাংশ শুল্কায়নে দিয়েই এসব পেঁয়াজ আমদানি করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের। ফলে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। যদি ভারত সরকার শুল্ক কমিয়ে দেয়, তাহলে দেশের বাজারে কমবে পেঁয়াজের দাম।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহীনুর রেজা শাহিন বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মোকামগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বাড়তে বাড়তে এখন দেশীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই দেশের বাজারের স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে দেশে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার নিচে নেমে আসবে। আজ রবিবার হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন সপ্তাহ আগে দেশীয় পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেই পেঁয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সেই আজ পেঁয়াজ মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ খানিকটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত যেখানে ২ থেকে ৪টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল। সেখানে গত চার দিনে ১৫৫২ মেট্রিটটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তিনি বলেন, পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য তাই কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড়করণ করা হচ্ছে। এতে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয়ও বাড়বে।