ফেনীর পরশুরামে অচল স্ট্রিট লাইট অন্ধকারে জনসাধারণের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০২৪

শিবব্রত (বিশেষ প্রতিনিধি)

*****************************************
পরশুরাম উপজেলার জন গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন স্থানে জনস্বার্থে সরকারী অর্থায়নে স্থাপিত অধিকাংশ স্ট্রিট লাইটগুলো দীর্ঘ দিন ধরে অচলাবস্থায় পড়ে আছে ।

সঠিক তদারকির অভাবে সরকারি ভাবে স্থাপিত সোলার ষ্টিট লাইটগুলো প্রায় সবগুলোই বিকল হয়ে গেছে। এতে আলো বঞ্চিত হাজার হাজার জনসাধারণ। পরশুরাম উপজেলার পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ গ্রামীন সড়কে স্থাপিত এসব সরকারি ষ্টিট লাইটের লোহার খুটি নিরব সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টির অভাবে বিকল এসব স্ট্রিট লাইট দীর্ঘদিনেও কোন রকম মেরামত না করায় এখন তা জনসাধারনের কোন কাজে আসছে না।এমতাবস্থায় বেশির ভাগ স্ট্রিট লাইট নষ্ট থাকায় ওই জায়গা গুলো আগের মতই ভূতুরে অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলার ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে হাটবাজার স্কুল কলেজ, রেলস্টেশন, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, সড়কসহ জনগুরুত্বপূর্ন স্থাপনা সমুহে রাতের আঁধারে সর্বসাধারনের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য এসব লাইট স্থাপন করা হয়েছিল।কিন্তু কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসবলাইট মেরামতের অভাবে বর্তমানে তা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তবুও এনিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
রাতের বেলা অন্ধকারে সংঘঠিত অপরাধ ও নাশকতা এড়াতে এবং মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য পরশুরাম উপজেলাধীন প্রতিটি সড়কে সড়ক বাতি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছিল সাবেক স্থানীয় সাংসদ শিরিন আক্তারের সময়ে । তিন বছর আগে সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠমো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার পৌরসভা সহ ৩ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপিত করা হয়েছিল ইন্টিগ্রেট সোলার স্ট্রীট লাইট ও হোম সোলার। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইডকলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান শক্তি ফাউন্ডেশন এই লাইটগুলো সরবরাহ ও স্থাপন করে।
চিথলিয়া ইউনিয়নের ওহাব উদ্দিন, সাহেব মিয়া এবং মির্জানগর ইউনিয়নের ইদ্রিস মিয়া বলেন, এই লাইটগুলো রাতের আলোতে এই এলাকার মানুষজন বেশ স্বাচ্ছ্যেন্দে চলাচল করতে পারতো। কিন্তু এই লাইটগুলো স্হাপনের কিছুদিন পরেই অনেক জায়গার এই লাইটগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মানুষজনকে অনেকটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরশুরাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালে এ প্রকল্প মেয়াদ শেষ হয়েছে। পরবর্তীতে এসব লাইট মেরামত কিংবা সংস্কারের কোন বাজেট দেয়া হয়নি। ফলে এই মুহুর্তে এসব লাইট মেরামতের কোন সম্ভাবনা নেই।তবে কখনো বাজেট হলে তখন মেরামত করা হবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ,উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে স্থাপন কৃত ইন্টিগ্রেট সোলার স্ট্রিট লাইট গুলো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দায়সারা ভাবেয় কাজের কারনে ৬ মাসের মধ্যেই বিকল হয়ে যায় ।ওইসব লাইট গুলো গভীর রাতে নিভে যায়। অনেক গুলো লাইট জ্বলেও না। তিন বছরের ওয়ারেন্টি থাকলেও সরবরাহকারী ও সংস্থাপনকারী প্রতিষ্ঠান শক্তি ফাইন্ডেশন (ইডকল) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়সারা মনোভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হওয়া এইসব লাইট মেরামত করা হয়নি।
প্রসঙ্গত: সোলার স্ট্রিট প্রতিটি লাইটের বিপরীতে গুণতে হয়েছিল ৫৬ হাজার ৪শ ১০ দশ (৫৬৪১০) টাকা এবং হোম সোলারের জন্য বিভিন্ন রেটে টাকা গুনতে হয়েছিল। কিন্তু স্থাপনের কয়েক মাসের মধ্যেই প্রায় লাইট বিকল হয়ে পড়ে।।