“আমার দল জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে এবং বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেঃপ্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমার দল জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে এবং বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমার সরকারের লক্ষ্য গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা।” রবিবার রাজধানী ঢাকার মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।”

মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাতায়াতের সুবিধার্থে এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার বালুর মাঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে এক অনুষ্ঠান থেকে ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “অনেক সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আমরা আবারও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।”

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং কেউ যদি নির্বাচনে কারচুপি করে তবে তারা তা কখনই মেনে নেবে না।” তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা সবার মনে আছে। তখন বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল এবং খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। জনগণ তা মেনে নেয়নি। একই বছরের ৩০ মার্চ গণআন্দোলনের কারণে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।”

শেখ হাসিনা বলেন, “২০০১ সালের পর বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো, তখনও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিলো। বিএনপি এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং ২০০৬ সালের নির্বাচন ঘোষণা করেছে, যা ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে হওয়ার কথা ছিল। অনেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। যখন জনগণ বুঝতে পেরেছিল যে তাদের ভোট কারচুপি করা হবে, তখন তারা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে এবং খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।”

আ্ওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯টি আসনে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে তারা আরেকটি আসনে জয়লাভ করে। আমরা জনগণের ভোটের মাধ্যমে, তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে এবং দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতায় এসেছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে এবং আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় সরকার বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ।”