পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মার্কিন অভিযোগে নীরবতা ভাঙলেন মোদি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি : টাইমস নাউ নিজস্ব প্রতিনিধি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমেরিকান-কানাডিয়ান নাগরিক খালিস্তানি ‘সন্ত্রাসী’ গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্র একজন ভারতীয় নাগরিক করেছিলেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আলোচিত বিষয়টি নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন মোদি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বলেছেন, ‘সামান্য কয়েকটি ঘটনা’ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারবে না। এডিটিভি বলেছে, গত মাসে মার্কিন ফেডারেল প্রসিকিউটররা ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তের বিরুদ্ধে শিখ নেতা পান্নুনকে খুনের জন্য লোক ভাড়া করার অভিযোগ প্রকাশ করেন। তার পর থেকে এটাই মোদির প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘কেউ যদি আমাদের কোনো তথ্য দেয় তাহলে আমরা অবশ্যই তা খতিয়ে দেখব।…আমাদের কোনো নাগরিক ভালো বা খারাপ কিছু করে থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত। আইনের শাসনের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপক্ষীয় সমর্থন রয়েছে, যা দুই দেশের পরিপক্ব এবং স্থিতিশীল অংশীদারির এক স্পষ্ট সূচক।’ মোদি বলেছেন, ‘আমি মনে করি না দু-একটি ঘটনার সঙ্গে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে এক করে দেখানো যথাযথ।’ মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, নিখিল গুপ্ত ও একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারী (সাংকেতিক নাম সিসি-১) গত মে মাস থেকে বার্তা আদান-প্রদান করেছেন, যাতে নিখিলকে অন্যজন ওই হত্যার পরিকল্পনা করতে বলেছিলেন। বিনিময়ে ভারতে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মার্কিন প্রসিকিউটররা বলেছেন, দিল্লিতে দুজনের সামনাসামনি দেখাও হয়েছিল। হোয়াইট হাউস জড়িতদের জবাবদিহি করতে নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ভারত সরকারের তদন্তের ফলাফলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষা করছে। এনডিটিভি বলছে, এই অভিযোগটি নতুন করে কানাডার একটি অভিযোগের যাচাই-বাছাইয়ের প্ররোচনাও দিচ্ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার বলেছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ রয়েছে, জুন মাসে একজন খালিস্তানি ‘সন্ত্রাসী’ ও কানাডিয়ান নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার সঙ্গে একজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রকাশের পর ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছেন, এ অভিযোগের বিষয় ভারতকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া দরকার। ভারত কানাডার দাবিগুলোকে ‘অনুপ্রাণিত’ এবং ‘অযৌক্তিক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অটোয়াকে নয়াদিল্লি বলেছে, ‘এটি ভারত সরকারের নীতি নয়’। পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ভারতকে দেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেছে তারা। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: পান্নুমোদিষড়যন্ত্রহত্যা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমেরিকান-কানাডিয়ান নাগরিক খালিস্তানি ‘সন্ত্রাসী’ গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্র একজন ভারতীয় নাগরিক করেছিলেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আলোচিত বিষয়টি নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন মোদি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বলেছেন, ‘সামান্য কয়েকটি ঘটনা’ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারবে না।
এডিটিভি বলেছে, গত মাসে মার্কিন ফেডারেল প্রসিকিউটররা ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তের বিরুদ্ধে শিখ নেতা পান্নুনকে খুনের জন্য লোক ভাড়া করার অভিযোগ প্রকাশ করেন। তার পর থেকে এটাই মোদির প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘কেউ যদি আমাদের কোনো তথ্য দেয় তাহলে আমরা অবশ্যই তা খতিয়ে দেখব।…আমাদের কোনো নাগরিক ভালো বা খারাপ কিছু করে থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত।
আইনের শাসনের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপক্ষীয় সমর্থন রয়েছে, যা দুই দেশের পরিপক্ব এবং স্থিতিশীল অংশীদারির এক স্পষ্ট সূচক।’ মোদি বলেছেন, ‘আমি মনে করি না দু-একটি ঘটনার সঙ্গে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে এক করে দেখানো যথাযথ।’ মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, নিখিল গুপ্ত ও একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারী (সাংকেতিক নাম সিসি-১) গত মে মাস থেকে বার্তা আদান-প্রদান করেছেন, যাতে নিখিলকে অন্যজন ওই হত্যার পরিকল্পনা করতে বলেছিলেন।
বিনিময়ে ভারতে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মার্কিন প্রসিকিউটররা বলেছেন, দিল্লিতে দুজনের সামনাসামনি দেখাও হয়েছিল। হোয়াইট হাউস জড়িতদের জবাবদিহি করতে নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ভারত সরকারের তদন্তের ফলাফলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষা করছে। এনডিটিভি বলছে, এই অভিযোগটি নতুন করে কানাডার একটি অভিযোগের যাচাই-বাছাইয়ের প্ররোচনাও দিচ্ছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার বলেছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ রয়েছে, জুন মাসে একজন খালিস্তানি ‘সন্ত্রাসী’ ও কানাডিয়ান নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার সঙ্গে একজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রকাশের পর ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছেন, এ অভিযোগের বিষয় ভারতকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া দরকার। ভারত কানাডার দাবিগুলোকে ‘অনুপ্রাণিত’ এবং ‘অযৌক্তিক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অটোয়াকে নয়াদিল্লি বলেছে, ‘এটি ভারত সরকারের নীতি নয়’। পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ভারতকে দেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেছে তারা।