ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া

প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে শীতের সবজির ভরা মৌসুম চলছে। বাজারেও পর্যন্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। এ সময় দাম কমার কথা থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজি কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। যার ফলে তাঁরা খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জোয়ারসাহারা, মহাখালী কাঁচাবাজার, বাড্ডা ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে মানভেদে যে শিম কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়।

গোল বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ছিল, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। লম্বা বেগুন ৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ৭০ থেকে ৮০ টাকার করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। ৬০ থেকে ৭০ টাকার লম্বা লাউ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
১০০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। 

ফুল কপি ও পাতা কপি প্রতি পিসে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ার পরও পুরানো আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং নতুন আলু কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রেকর্ড দাম বেড়েছে দেশি রসুনের। দেশি রসুন কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা এবং আমদানিকৃত রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দামও বেড়েছে। ডজনে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিডজন ফার্মের ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

মহাখালী কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. হানিফ  বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারিতে গোল বেগুন ৭০ টাকা কেজি কিনতে হয়েছে। বিক্রি করছি ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। লম্ব বেগুন কিনেছি ৬০ টাকায়, বিক্রি করছি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। পাইকারিতে প্রতি পিস ফুলকপি কিনতে হয়েছে ৪৫ টাকায়, বিক্রি করছি ৬০ টাকা। পাতা কপি ৪০ টাকায় কিনে ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। প্রতি পিস লম্বা লাউ ৮৫ টাকায় কিনতে হয়েছে, বিক্রি করছি ১০০ টাকায়।’

রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম  বলেন, ‘ঘুণিঝড় ও টানা বৃষ্টির কারণে এবার শীতের সবজির উত্পাদন কম হয়েছে। যার কারণে শীতের মৌসুমেও পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। শীতের সবজির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ার কারণে বাজারে দাম বাড়তি। কিছুদিন পর সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আবার কমে আসতে পারে।’

রসুনের দাম বাড়ার বিষয়ে আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ  বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় বাজারে দেশি রসুনের সরবরাহ খুবই কম। যার কারণে দেশি রসুনের দাম এভাবে বেড়েছে। অন্যদিকে ভারত ও চীনে দাম বাড়ার কারণে আমদানিকৃত রসুনেরও দাম বেড়েছে। পাইকারিতে দেশি রসুন মানভেদে কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় এবং আমদানিকৃত রসুন ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’