৯০ টাকা কেজিতে মিলছে পেঁয়াজ

প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় সারা দেশের ন্যায়ে দিনাজপুরের হিলিতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। তবে দেশীয় নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় ও সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এতে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।

পাইকারী দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

আজ সোমবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হিলি বাজারে কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে। আর পাতা পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাইকারী ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

হিলি বাজারে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলেন, গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় দেশি পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দাম কমে আসছে। আমরা কয়েক সপ্তাহ আগে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।

আজ সেই পেঁয়াজ পাইকারি ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা আর খুচরা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করছি। আমরা কমে দামে কিনতে পারলে কম দামে বিক্রি করে থাকি। তবে কয়েক দিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। 

এদিকে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির বন্ধের ১২ দিন পর পূর্বের পুরনো এলসির টেন্ডার করা ৪৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। হিলি স্থলবন্দরের রায়হান ট্রেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করেন।

কিন্তু ঘোষণা পত্রে ২৯ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। এতে অন্তত ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেন ওই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় তিনটি ট্রাকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। 

হিলি বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখন হিলি বাজারেই পাওয়া যায় না। আমদানিকারকরা বেশি লাভের আশায় তাদের নিজ খরচে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজগুলো পাঠান।