নিয়ম মানার আহ্বান মেট্রোরেলের ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২৩ ১০ জানুয়ারি ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি ভ্রমণের সময় মেট্রোরেলের নিয়ম ও নির্দেশনা মেনে চলার জন্য যাত্রীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সব যাত্রীর কাছে আমার অনুরোধ ভ্রমণের সময় মেট্রোরেলের নিয়ম ও নির্দেশিকা মেনে চলুন। কারণ এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক ট্রেন। তাই প্রত্যেকেরই এটি ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে তিনি সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীদের মেট্রোরেল পরিষ্কার রাখতে হবে। এখানে-ওখানে কোনো আবর্জনা না ফেলে বরং ট্রেনে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা ব্যবহার করতে হবে।’ বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এটি ২০২৩ সালের প্রথম এবং বর্তমান সরকারের ১০৮তম মন্ত্রিসভা বৈঠক। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন হয়। এ পরিবহণ নিয়ে মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। মেট্রোরেল ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সার্বিক যত্ন নিয়ে যেন আমরা ব্যবহার করি, সে বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে বলেছেন তিনি।’ সীমিত পরিসরে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে। বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করার পর মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর ফানুস এসে পড়ায় ১ জানুয়ারি দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সীমিত পরিসরে চলাচলের মাধ্যমে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে মেট্রোরেল থেকে ৮৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে। আর যাত্রী পরিবহণ করা হয়েছে ৯০ হাজার। এনার্জি রেগুলেটরি অধ্যাদেশ আইনে রূপান্তর : এদিকে বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নয়, বরং ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয়ে সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে জারি করা অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি আগে অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। তখন সংসদ অধিবেশন না থাকায় অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল। এখন সংসদ চলমান এবং এটি অনুমোদনের জন্য সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সংসদে উপস্থাপন করা হবে। অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরের জন্য এটি আবার সাধারণ প্রক্রিয়ায় সংসদে নিতে হবে। সেজন্য মন্ত্রিসভা অধ্যাদেশটি সংসদে উপস্থাপনের জন্য নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ অধ্যাদেশ বলে বিইআরসির পাশাপাশি সরকার চাইলেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়াতে বা কমাতে পারবে। এই আইনের নতুন ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারবে। জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য উৎপাদন বাড়াতে পারবে। উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহণ ও বিপণনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ও করতে পারবে। কৃষি বিপণন নীতিমালা : দেশে প্রচলিত বাজারব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ এবং উৎপাদনকারীকে সুবিধা দিতে ‘জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি-২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নীতিমালায় উৎপাদন ও বাজারব্যবস্থার আধুনিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এজন্য কিছু কৌশল বা লক্ষ্য স্থির করে কীভাবে কৃষির বিপণন বাজারমুখী করা যায় এবং উৎপাদনকারীকে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া যায় তা নির্দেশ করা হয়েছে। কৃষি বিপণন নীতিমালায় কী কী সুবিধা থাকছে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর মাধ্যমে কৃষিপণ্য বিপণনে সহায়ক বাজার তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। কমিউনিটিভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক, গ্রুপভিত্তিক বিপণন জোরদার করা হবে। কৃষি উপকরণ বিপণনকে সহজ ও আধুনিকায়ন করা হবে। কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এছাড়া কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব হ্রাসের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কৃষিব্যবস্থার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করা হবে। নীতিমালার আওতায় উন্নত গবেষণাগার, নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরবরাহ চেইন নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থায় সহায়তা করা হবে। শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : মন্ত্রিসভা বৈঠকে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শরীয়তপুরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি হবে বাংলাদেশের নবম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য অনেকটা অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই। বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এটি হবে ৫৪তম বিশ্ববিদ্যালয়। SHARES জাতীয় বিষয়: