দুর্নীতির এ রকম লঙ্কাকাণ্ড পৃথিবীর কোথাও ঘটে না : রিজভী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের মতো দুর্নীতি হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, যে দেশে একটা বালিশের দাম ২৭ হাজার, বালিশের কাভারের দাম ২৮ হাজার, পর্দার দাম ৩৩ হাজার টাকা। সে দেশের মতো দুর্নীতির এ রকম লঙ্কাকাণ্ড পৃথিবীর কোথাও ঘটে না।বুধবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী। বিএনপির এই নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব গতকাল বলেছেন- দুর্নীতি সারা বিশ্বেই আছে, শুধু বাংলাদেশকে অপবাদ দেওয়া হয়। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে চাই- দুর্নীতি হয়তো সারা বিশ্বেই কমবেশি থাকতে পারে, কিন্তু বিশ্বব্যাপী আওয়ামী মার্কা দুর্নীতির কলঙ্ক তীলক আর কোথাও আছে বলে জানা নেই। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনাদের মন্ত্রীর দুর্নীতি করা টাকা ফেরত দিতে হয়।তিনি আরো বলেন, কয়েকবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আওয়ামী সরকার। সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম মুহিত সাহেব বলেছিলেন চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি কিছুই না। এখন ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন কত হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করলে সেটিকে আওয়ামী পরিভাষায় দুর্নীতি হিসেবে গণ্য করা হবে?রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের কথায় মনে হচ্ছে যে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এখন টিআইবি বলছে- এই দুর্নীতি বর্তমানে আরো অবনতিশীল হয়েছে। আর এ জন্যই টিআইবিকে বিএনপির দালাল বলা হচ্ছে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে, এরা কী কারণে কারাবন্দী সেই কথাটি সাবলিলভাবে ফাঁস করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এখন ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কখন ড. আব্দুর রাজ্জাককে বিএনপির দালাল বলবেন, সেটির জন্য জাতি অপেক্ষা করছে। দখলদার আওয়ামী সরকার শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দুর্নীতিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন।গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া ১০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ প্রত্যাখাত একদলীয় ডামি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরই জানা গেল আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিটার চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় সমন্বয় করতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিটার ভাড়া এক লাফে দ্বিগুণ বৃদ্ধি ৭ জানুয়ারি নীরবে সার্কাস দেখার শাস্তি হিসেবে জনগণের ওপর ধার্য করা হয়েছে।তিনি বলেন, এমনিতেই আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের সরবরাহ মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বাসাবাড়িতে দিনে-রাতে অধিকাংশ সময়ে গ্যাস থাকে না। অথচ অবৈধ সরকার নানা কৌশলে গ্যাস ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা চুষে নিচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা সরকারের গণশত্রু চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। ভয়াবহ ডলার সংকটে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ধস জনগণকে বন্দুকের নলের মুখে দূরে ঠেলে ক্ষমতা দখলে রাখার একমাত্র লক্ষ্য গোটা দেশটাকে লুণ্ঠনের অভয়ারণ্য বানানো বলে মন্তব্য করেন রিজভী। বলেন, ‘ভয়াবহ ডলার সংকটের কারণে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ধস নেমেছে। তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে নগদ সহায়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবৈধ ডামি সরকার। এমনিতেই বায়ারদের কাছ থেকে পোশাকের অর্ডার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ ছাড়া চামড়া, পাটজাত পণ্য, এগ্রো প্রসেসিং পণ্যে নগদ সহায়তা অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ সমস্ত পণ্যের রপ্তানি চরমভাবে হ্রাস পাবে। ভোটারবিহীন সরকার কখনোই জনকল্যাণমুখী হতে পারে না। এরা অবাধ লুণ্ঠনের যে নজির তৈরি করেছে, তা পৃথিবীতে বিরল। আওয়ামী মন্ত্রীরা অখণ্ড কতৃর্ত্বের অধিকারী ভাবছেন রিজভী বলেন, প্রভুদের সমর্থনে ডামি নির্বাচন করে অবৈধ ক্ষমতার জোরে আওয়ামী মন্ত্রীরা নিজেদের এখন অখণ্ড কতৃর্ত্বের অধিকারী ভাবছেন। এরা গণতান্ত্রিক বিশ্বের নামকরা গণমাধ্যমকেও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে অবলীলায়। নোবেল লরিয়েট ড. মুহম্মদ ইউনুসকে নিয়ে বিশ্বের অনেক নোবেল লরিয়েট ও বিশ্ব নেতাদের বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোষ্টে। এই বিবৃতিকে বিজ্ঞাপন বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীরা রাষ্ট্রশক্তিকে কব্জায় নিয়ে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনুস প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে নাকি বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ। স্বচ্ছ বটে তবে সেটি বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদীর পানির মতোই। রুচিহীন, আপত্তিকর ও বানোয়াট কথা বলার জন্য আওয়ামী মন্ত্রীদের পুরস্কৃত করা উচিত। কালো পতাকা মিছিল থেকে শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার বেপরোয়া দুর্নীতি আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ দিয়ে সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ছিল বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিল। এই কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বর্ষিয়ান নেতা দেশবরণ্য একজন শিক্ষক ড. আবদুল মঈন খানকে কীভাবে টেনে হিঁচড়ে নাজেহাল করা হয়েছে, তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে; মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ অনেক নারী নেত্রীকে যেভাবে নাজেহাল করা হয়েছেম তাঁর দৃষ্টান্ত সারা বিশ্বে খুব কমই পাওয়া যাবে। এ সময় একশ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলায় ৭০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত করা হয়েছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। আগের সিদ্ধান্ত বহাল আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপির আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে বলে সাংবাদিকদের জানান রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী যারা আন্দোলনের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি-অত্যাচারের মুখে দাঁড়িয়েছে, তারা এই সরকারের পতন চায়। তাঁরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উৎসাহী। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো কাজে বা নির্বাচনে থাকবে না। SHARES Uncategorized বিষয়: #রিজভী
পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের মতো দুর্নীতি হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, যে দেশে একটা বালিশের দাম ২৭ হাজার, বালিশের কাভারের দাম ২৮ হাজার, পর্দার দাম ৩৩ হাজার টাকা। সে দেশের মতো দুর্নীতির এ রকম লঙ্কাকাণ্ড পৃথিবীর কোথাও ঘটে না।বুধবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব গতকাল বলেছেন- দুর্নীতি সারা বিশ্বেই আছে, শুধু বাংলাদেশকে অপবাদ দেওয়া হয়। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে চাই- দুর্নীতি হয়তো সারা বিশ্বেই কমবেশি থাকতে পারে, কিন্তু বিশ্বব্যাপী আওয়ামী মার্কা দুর্নীতির কলঙ্ক তীলক আর কোথাও আছে বলে জানা নেই। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনাদের মন্ত্রীর দুর্নীতি করা টাকা ফেরত দিতে হয়।তিনি আরো বলেন, কয়েকবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আওয়ামী সরকার।
সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম মুহিত সাহেব বলেছিলেন চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি কিছুই না। এখন ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন কত হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করলে সেটিকে আওয়ামী পরিভাষায় দুর্নীতি হিসেবে গণ্য করা হবে?রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের কথায় মনে হচ্ছে যে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এখন টিআইবি বলছে- এই দুর্নীতি বর্তমানে আরো অবনতিশীল হয়েছে। আর এ জন্যই টিআইবিকে বিএনপির দালাল বলা হচ্ছে।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে, এরা কী কারণে কারাবন্দী সেই কথাটি সাবলিলভাবে ফাঁস করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এখন ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কখন ড. আব্দুর রাজ্জাককে বিএনপির দালাল বলবেন, সেটির জন্য জাতি অপেক্ষা করছে। দখলদার আওয়ামী সরকার শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দুর্নীতিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন।গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া ১০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ প্রত্যাখাত একদলীয় ডামি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরই জানা গেল আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিটার চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় সমন্বয় করতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মিটার ভাড়া এক লাফে দ্বিগুণ বৃদ্ধি ৭ জানুয়ারি নীরবে সার্কাস দেখার শাস্তি হিসেবে জনগণের ওপর ধার্য করা হয়েছে।তিনি বলেন, এমনিতেই আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের সরবরাহ মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বাসাবাড়িতে দিনে-রাতে অধিকাংশ সময়ে গ্যাস থাকে না। অথচ অবৈধ সরকার নানা কৌশলে গ্যাস ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা চুষে নিচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা সরকারের গণশত্রু চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। ভয়াবহ ডলার সংকটে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ধস জনগণকে বন্দুকের নলের মুখে দূরে ঠেলে ক্ষমতা দখলে রাখার একমাত্র লক্ষ্য গোটা দেশটাকে লুণ্ঠনের অভয়ারণ্য বানানো বলে মন্তব্য করেন রিজভী। বলেন, ‘ভয়াবহ ডলার সংকটের কারণে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ধস নেমেছে। তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে নগদ সহায়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবৈধ ডামি সরকার। এমনিতেই বায়ারদের কাছ থেকে পোশাকের অর্ডার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ ছাড়া চামড়া, পাটজাত পণ্য, এগ্রো প্রসেসিং পণ্যে নগদ সহায়তা অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ সমস্ত পণ্যের রপ্তানি চরমভাবে হ্রাস পাবে। ভোটারবিহীন সরকার কখনোই জনকল্যাণমুখী হতে পারে না। এরা অবাধ লুণ্ঠনের যে নজির তৈরি করেছে, তা পৃথিবীতে বিরল। আওয়ামী মন্ত্রীরা অখণ্ড কতৃর্ত্বের অধিকারী ভাবছেন রিজভী বলেন, প্রভুদের সমর্থনে ডামি নির্বাচন করে অবৈধ ক্ষমতার জোরে আওয়ামী মন্ত্রীরা নিজেদের এখন অখণ্ড কতৃর্ত্বের অধিকারী ভাবছেন। এরা গণতান্ত্রিক বিশ্বের নামকরা গণমাধ্যমকেও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে অবলীলায়। নোবেল লরিয়েট ড. মুহম্মদ ইউনুসকে নিয়ে বিশ্বের অনেক নোবেল লরিয়েট ও বিশ্ব নেতাদের বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোষ্টে। এই বিবৃতিকে বিজ্ঞাপন বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীরা রাষ্ট্রশক্তিকে কব্জায় নিয়ে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনুস প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে নাকি বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ। স্বচ্ছ বটে তবে সেটি বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদীর পানির মতোই। রুচিহীন, আপত্তিকর ও বানোয়াট কথা বলার জন্য আওয়ামী মন্ত্রীদের পুরস্কৃত করা উচিত। কালো পতাকা মিছিল থেকে শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার বেপরোয়া দুর্নীতি আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ দিয়ে সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ছিল বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিল। এই কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বর্ষিয়ান নেতা দেশবরণ্য একজন শিক্ষক ড. আবদুল মঈন খানকে কীভাবে টেনে হিঁচড়ে নাজেহাল করা হয়েছে, তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে; মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ অনেক নারী নেত্রীকে যেভাবে নাজেহাল করা হয়েছেম তাঁর দৃষ্টান্ত সারা বিশ্বে খুব কমই পাওয়া যাবে। এ সময় একশ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলায় ৭০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত করা হয়েছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। আগের সিদ্ধান্ত বহাল আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপির আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে বলে সাংবাদিকদের জানান রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী যারা আন্দোলনের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি-অত্যাচারের মুখে দাঁড়িয়েছে, তারা এই সরকারের পতন চায়। তাঁরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উৎসাহী। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো কাজে বা নির্বাচনে থাকবে না।