রমজানে ন্যায্য মূল্যে ডিম-মুরগি পেতে সড়কে ‘চাঁদাবাজি’ বন্ধের দাবি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪ বিপিএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন নিজস্ব প্রতিবেদক রমজান মাসে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি পেতে পরিবহনের সময় সড়কে পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিপিএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। ডিম ও মুরগি পরিবহনের গাড়ির খাঁচার অনুমোদন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তাঁরা জানান, সামনে পবিত্র রমজান মাসে ডিম ও মুরগির দাম ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। তবে সব সময়ের জন্য ডিম ও মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিপিএর উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রয় কার্যক্রমকে আরো প্রসারিত করার লক্ষ্যে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। লিখিত বক্তব্যে মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘করপোরেট গ্রুপগুলো ডিম ও মুরগি, পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা পরিবহনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) থেকে গাড়ির অনুমোদন পায়। কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের অনুমোদন দেওয়া হয় না। এ জন্য ট্রাফিক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ, থানার চেকপোস্ট, সারা দেশের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাকে মাসিক চাঁদা দিয়ে চলতে হয়। স্থানীয় চাঁদাবাজদের কবলে পড়তে হয় আমাদের। মাসিক চাঁদা দিয়েও গাড়িগুলো দিনের বেলা চলাচল করতে পারে না। এতে পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় প্রান্তিক খামারিদের। এতে ডিম ও মুরগি পরিবহন খরচ বাড়ায় দামও বেড়ে যায়।’ রমজানের আগে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার পেছনে কারণ জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘করপোরেট সিন্ডিকেটের যোগসাজশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রান্তিক খামারিদের কাছে মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রান্তিক খামারিদের মতামত না নিয়ে শুধু করপোরেট সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিয়ে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৪৯ থেকে ৫২ টাকা। এ জন্য নতুন করে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘মুরগির বাচ্চার উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে করপোরেট গ্রুপগুলো তাদের চাহিদামতো নিজস্ব খামারে বাচ্চা তুলেছে এবং কন্টাক্ট খামারিদের বাচ্চা দিয়েছে। অবশিষ্ট বাছাই করা নিম্ন মানের বাচ্চা অতিরিক্ত দামে তাদের পরিবেশকের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিদের কাছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রয় করছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ভোক্তা ও প্রান্তিক খামারিদের।’ এখন মুরগির দাম কেন বাড়ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘করপোরেট গ্রুপগুলো মুরগির বাচ্চার কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে এবং মুরগির সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। এখন বাজারে যে পরিমাণ মুরগি আছে এগুলো বেশির ভাগ কম্পানির নিজস্ব উৎপাদন এবং তাদের কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মুরগি। খামারিদের মুরগি বাজারে এলে ম্যাজিকের মতো দাম কমে যায়। প্রান্তিক খামারিদের ন্যায্য মূল্য দিয়ে উৎপাদনে ধরে রাখতে না পারলে কখনোই ডিম-মুরগির বাজারে স্বস্তি ফিরবে না।’ রমজানে ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক রাখতে আপনাদের দাবি কী―এই প্রশ্নের জবাবে সংগঠটির সভাপতি বলেন, ‘সারা দেশে যত চাঁদাবাজি এবং পুলিশি হয়রানি হয় সেগুলো বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে দিনের বেলা আমাদের মুরগি ও ডিমের গাড়িগুলো যাতে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।’ এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাওসার আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মেজবাহ মারফি, উপপ্রচার সম্পাদক মো. আব্দুর রউফ প্রমুখ। SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: ন্যায্য মূল্যে ডিম-মুরগিরমজান
রমজান মাসে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি পেতে পরিবহনের সময় সড়কে পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিপিএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। ডিম ও মুরগি পরিবহনের গাড়ির খাঁচার অনুমোদন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তাঁরা জানান, সামনে পবিত্র রমজান মাসে ডিম ও মুরগির দাম ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
তবে সব সময়ের জন্য ডিম ও মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিপিএর উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রয় কার্যক্রমকে আরো প্রসারিত করার লক্ষ্যে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। লিখিত বক্তব্যে মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘করপোরেট গ্রুপগুলো ডিম ও মুরগি, পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা পরিবহনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) থেকে গাড়ির অনুমোদন পায়। কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের অনুমোদন দেওয়া হয় না। এ জন্য ট্রাফিক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ, থানার চেকপোস্ট, সারা দেশের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাকে মাসিক চাঁদা দিয়ে চলতে হয়।
স্থানীয় চাঁদাবাজদের কবলে পড়তে হয় আমাদের। মাসিক চাঁদা দিয়েও গাড়িগুলো দিনের বেলা চলাচল করতে পারে না। এতে পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় প্রান্তিক খামারিদের।
এতে ডিম ও মুরগি পরিবহন খরচ বাড়ায় দামও বেড়ে যায়।’ রমজানের আগে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার পেছনে কারণ জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘করপোরেট সিন্ডিকেটের যোগসাজশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রান্তিক খামারিদের কাছে মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রান্তিক খামারিদের মতামত না নিয়ে শুধু করপোরেট সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিয়ে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৪৯ থেকে ৫২ টাকা। এ জন্য নতুন করে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘মুরগির বাচ্চার উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে করপোরেট গ্রুপগুলো তাদের চাহিদামতো নিজস্ব খামারে বাচ্চা তুলেছে এবং কন্টাক্ট খামারিদের বাচ্চা দিয়েছে।
অবশিষ্ট বাছাই করা নিম্ন মানের বাচ্চা অতিরিক্ত দামে তাদের পরিবেশকের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিদের কাছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রয় করছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ভোক্তা ও প্রান্তিক খামারিদের।’ এখন মুরগির দাম কেন বাড়ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘করপোরেট গ্রুপগুলো মুরগির বাচ্চার কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে এবং মুরগির সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। এখন বাজারে যে পরিমাণ মুরগি আছে এগুলো বেশির ভাগ কম্পানির নিজস্ব উৎপাদন এবং তাদের কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মুরগি। খামারিদের মুরগি বাজারে এলে ম্যাজিকের মতো দাম কমে যায়। প্রান্তিক খামারিদের ন্যায্য মূল্য দিয়ে উৎপাদনে ধরে রাখতে না পারলে কখনোই ডিম-মুরগির বাজারে স্বস্তি ফিরবে না।’ রমজানে ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক রাখতে আপনাদের দাবি কী―এই প্রশ্নের জবাবে সংগঠটির সভাপতি বলেন, ‘সারা দেশে যত চাঁদাবাজি এবং পুলিশি হয়রানি হয় সেগুলো বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে দিনের বেলা আমাদের মুরগি ও ডিমের গাড়িগুলো যাতে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।’ এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাওসার আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মেজবাহ মারফি, উপপ্রচার সম্পাদক মো. আব্দুর রউফ প্রমুখ।