রাষ্ট্রের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুলাই মাসে

প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি : আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই রাষ্ট্রের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ শেষ হতে যাচেছ। রাষ্ট্রের এই তিন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার পরিবর্তে কারা নিয়োগ পাবেন- এই নিয়ে ইতোমধ্যে নানা আলাপ- আলোচনা  বিভিন্ন মহলে চলছে।

এ তিন গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তার মধ্যে আলোচনায় আছেন সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের ২৪ জুন সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিন বছরের জন্য তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত সেনাপ্রধানের পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নীতি খুবই কম। সেনাবাহিনীতে পেশাদারিত্ব বজায় রাখা হয় এবং নানা রকম বিষয় বিবেচনা করে নতুন সেনাপ্রধানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কোন ব্যতিক্রম না হলে ২৪ জুনের মধ্যেই নতুন একজন সেনাপ্রধাননিয়োগ করা হতে পারে।

বাংলাদেশের পুলিশের আইজিপি বা ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১১ জুলাই। তিনি এখন দেড় বছরের চুক্তিতে আছেন। তার দেড় বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ১২ জুলাই।

২০২৩ সনের ১২ জানুয়ারি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এরপর  তাকে দেড় বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। পুলিশে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘটনা ব্যতিক্রম।  নতুন করে তাঁকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে, না নতুন কাউকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে- তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানামুখী আলোচনা। এর মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি গ্রেড-১ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নাম আলোচনায় আছে।  এটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়, যাকে যোগ্য মনে করা হবে তাকেই এই পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৪ জুলাই। তিনিও এক বছরের চুক্তিতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার মেয়াদ শেষ হলে তাকে পুনরায় এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় এবং এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সময়সীমা আগামী ৫ জুলাই শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে। এই পর্যায়ে নতুন কাউকে মুখ্যসচিব নিয়োগ দেওয়া হবে কিনা, তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে আবারো চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে- এই নিয়েও চলছে বিভিন্ন আলোচনা।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে আবারো চুক্তিতে নিয়োগ না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সিনিয়রিটি  নীতি অনুসরণ করা হতে পারে বলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন। বর্তমানে যে দুজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা আছেন তাদের মধ্যে একজন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, অন্যজন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু জেষ্ঠ্যতম বিষয়টি অনুসরণ করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে প্রধানমন্ত্রী স্বীয় বিবেচনায় যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই এই পদে নিয়োগ দেয়া হবে। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কারা আসছেন সেই অপেক্ষায় আছে গোটা দেশবাসী।