চিকিৎসাব্যবস্থাকে সহজলভ্য করতে যা দরকার করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি দেশের চিকিৎসাব্যবস্থাকে মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে যা যা করার দরকার আমি তা-ই করব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ (শনিবার) সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কথা কম বলে অসুস্থ মানুষের সেবায় কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাদের। বঙ্গবন্ধু এই দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। তিনি ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন- বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন হবে সেই জন্য। তার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি কিন্তু দেশকে তাঁর স্বপ্নের মতো করে সাজানোর সুযোগ পাননি। তিনি মাত্র তিন বছরের মতো সময় ক্ষমতায় ছিলেন। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলেও দেশে তেমন কোনো সম্পদ বা অর্থ ছিল না। সেই দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশের দায়িত্ব নিয়েই তিনি এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে তিনি কাজ শুরু করেননি। স্বাস্থ্য খাতের সব ভালো উদ্যোগগুলো জাতির পিতাই শুরু করে দিয়েছিলেন। তিনি যেভাবে শুরু করেছিলেন, দেশের বিভিন্ন কুচক্রী মহলের কারণে সেগুলো সেভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘এখন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার কাজগুলো এক এক করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা। সেই কাজ করতে মুখে আমাদেরকে বড় বড় কথা বললেই হবে না, আমাদেরকে কাজ করে দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা যেন মুখে কথা কম বলে কাজ করেই আমাদের সক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে পারি, সে লক্ষ্যেই মাঠে নেমে পড়তে হবে। ঈদের পর থেকে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি আবারও মাঠে নেমে পড়ব। প্রয়োজনে প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে চলে যাব। দেশের চিকিৎসাব্যবস্থাকে মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে যা যা করার দরকার আমি তা-ই করব।’অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৩ বছরের ত্যাগে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। কত দিন তিনি খেয়ে না খেয়ে দেশের মানুষকে একত্রিত করতে কাজ করেছেন তার হিসাব নেই। বিশ্বের অনেক দেশই স্বাধীনতার জন্য যুগের পর যুগ লড়াই করে যাচ্ছে, কিন্তু স্বাধীন হতে পারছে না। বাংলাদেশ কিভাবে পারল, ভারত কিভাবে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল! এগুলো তো আর এমনি এমনি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সাহস ছিল, বুকের পাটা বড় ছিল। এ জন্যই বাংলাদেশ এত আগে স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসী নেতা নেই বলেই অনেক দেশ স্বাধীন হতে পারছে না।’ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএসএমএমইউর ভিসি ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব)সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও ব্যক্তিরা। SHARES Uncategorized বিষয়: #স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের চিকিৎসাব্যবস্থাকে মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে যা যা করার দরকার আমি তা-ই করব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ (শনিবার) সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কথা কম বলে অসুস্থ মানুষের সেবায় কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাদের। বঙ্গবন্ধু এই দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন।
তিনি ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন- বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন হবে সেই জন্য। তার দীর্ঘদিনের স্বপ্নের দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি কিন্তু দেশকে তাঁর স্বপ্নের মতো করে সাজানোর সুযোগ পাননি। তিনি মাত্র তিন বছরের মতো সময় ক্ষমতায় ছিলেন।
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলেও দেশে তেমন কোনো সম্পদ বা অর্থ ছিল না। সেই দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশের দায়িত্ব নিয়েই তিনি এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে তিনি কাজ শুরু করেননি। স্বাস্থ্য খাতের সব ভালো উদ্যোগগুলো জাতির পিতাই শুরু করে দিয়েছিলেন। তিনি যেভাবে শুরু করেছিলেন, দেশের বিভিন্ন কুচক্রী মহলের কারণে সেগুলো সেভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এখন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার কাজগুলো এক এক করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা। সেই কাজ করতে মুখে আমাদেরকে বড় বড় কথা বললেই হবে না, আমাদেরকে কাজ করে দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা যেন মুখে কথা কম বলে কাজ করেই আমাদের সক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে পারি, সে লক্ষ্যেই মাঠে নেমে পড়তে হবে। ঈদের পর থেকে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি আবারও মাঠে নেমে পড়ব।
প্রয়োজনে প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে চলে যাব। দেশের চিকিৎসাব্যবস্থাকে মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে যা যা করার দরকার আমি তা-ই করব।’অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৩ বছরের ত্যাগে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। কত দিন তিনি খেয়ে না খেয়ে দেশের মানুষকে একত্রিত করতে কাজ করেছেন তার হিসাব নেই। বিশ্বের অনেক দেশই স্বাধীনতার জন্য যুগের পর যুগ লড়াই করে যাচ্ছে, কিন্তু স্বাধীন হতে পারছে না। বাংলাদেশ কিভাবে পারল, ভারত কিভাবে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল! এগুলো তো আর এমনি এমনি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সাহস ছিল, বুকের পাটা বড় ছিল। এ জন্যই বাংলাদেশ এত আগে স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসী নেতা নেই বলেই অনেক দেশ স্বাধীন হতে পারছে না।’ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএসএমএমইউর ভিসি ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব)সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও ব্যক্তিরা।