ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের আর কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিবেনা সরকার

প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৪

সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার :
জনগনের সাথে প্রতারণা করে বিগত তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করা সদ্য খমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও এই প্রতারণা ও জালিয়াতিতে সমান অংশীদার তাদের দোসরদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করা হবে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সামনে রেখে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এই সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে। কয়েকটি দল জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছে। প্রায় সব দল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত সংস্কার চেয়েছে। দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য খুব দ্রুতই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।

মিলিয়ে ছয়টি দল ও তিনটি জোট গতকাল পৃথকভাবে সংলাপে অংশ নেয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল বেলা তিনটায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামকে দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর একে একে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএম, লেবার পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে সংলাপ হয়। সব মিলিয়ে ছয়টি দল ও তিনটি জোট গতকাল পৃথকভাবে সংলাপে অংশ নেয়। প্রতিটি দল ও জোটের জন্য সময় ৩০ মিনিট করে নির্ধারিত ছিল। এর আগে ৫ অক্টোবর বিএনপিসহ পাঁচটি দল ও তিনটি জোটের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার তৃতীয় দফায় সংলাপ হয়।

গতকাল বাকি দল ও জোটগুলোর সঙ্গে সংলাপ হয়। এই সংলাপে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহাফুজ আলম।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীদের এই সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। জাতীয় পার্টিকেও এবার সংলাপে ডাকা হয়নি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে গতকাল রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।