দলীয় নিবন্ধন ও বরাদ্দকৃত প্রতিক ফিরে পাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী

প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৪

 

সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ঃ

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর যে আপিল আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক বছর আগে খারিজ করে দিয়েছিল, তা পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয়। এর আগে ওই আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকার।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দলটির আবেদনে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটির ফের শুনানি হবে।

মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী ও জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফসহ ২৫ জন একটি রিট আবেদন করেন।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দলটির করা আবেদন ওই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আদালত।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। এতে দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়।