বিএডিসির কম্পিউটার অপারেটর শাহিনের মধ্যস্হতায় ঠিকাদারের ব্ল্যান্ক স্টাম্প, চেক জিম্মি!

প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৫

 

বিশেষ প্রতিনিধি :মেসার্স এসএম আউলিয়া এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স কমলা এন্টারপ্রাইজ এর মধ্যকার আমমোক্তার নামা দলিল সম্পাদিত থাকা সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে অভিনব কায়দায় বিএডিসি চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসের দায়িত্ব রত কম্পিউটার অপারেটর শাহিনের মদদে ও সহযোগিতায় মেসার্স এসএম আউলিয়া এন্টারপ্রাইজের স্তত্বাধিকারী ওমর ফারুক সুজন, পিতা: বাদশা মিয়া, সাং : রাহাত আলী গোমতার বাড়ি, দক্ষিন হিংগলা, ডাকঘড়- রাউজান, চট্রগ্রাম। বর্তমান ঠিকানা- বহদ্দার হাট এক কিলোমিটার চান্দগাও , চট্রগ্রাম, মেসার্স কমলা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো: আসাদুর রহমান সাং- ৭৬/২/এ উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা নিকট থেকে ১০০ টাকার ৩ টি জুলিশিয়াল স্ট্যাম্প স্বাক্ষরিত অবস্হায় ও ইসলামী ব্যাংক লি: প্রধান শাখা দিলকুশা, ঢাকা এবং প্রতিষ্ঠানের ১২টি প্যাড স্বাক্ষরিত জমা রাখে বিএডিসি কম্পিউটার অপারেটর শাহিন এর নিকট, তখন ওমর ফারুক সুজন কক্সবাজার অবস্হান করেছিলেন।
প্রকাশ থাকে যে, সুজন নিজেকে আড়ালে রেখে অফিসের কম্পিউটার অপারেটর শাহিনকে ব্যাবহার করে মো: আসাদুর রহমানকে জিম্মি রাখতেই ব্লাইং স্ট্যাম্প ও ব্লাইং চেক আদায় করেছে বলে সুস্পষ্ট প্রমান রয়েছে।
বিশ্বাস প্রবন আস্হা সম্পন্ন ব্যাক্তি মো: আসাদুর রহমান ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন মর্মে অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিমের মাধ্যমে তথ্য মিলেছে।
দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ও অশোভনীয় আচরনের ভিত্তিতে অসহায় আসাদুর রহমানের নিকট থেকে ব্লাইং স্ট্যাম্প ও ব্লাইং চেক হাতিয়ে নেওয়ার পর থেকে বিগত ১৪ মাস যাবৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে ওমর ফারুক সুজন। এহেন পরিস্থিতিতে, মেসার্স কমলা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো: আসাদুর রহমান দিশেহারা অবস্হায় বিএডিসি চট্রগ্রাম রিজিওনাল অফিসের অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সত্যতা যাচাই বাচাই করতে ক্যাট জার্নালিস্ট কমিটি বাংলাদেশ এর সংগঠনের অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিমের সহযোগিতার লক্ষ্যে আবেদন জানান।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিমের নিকট স্বশরীরে ওমর ফারুক সুজন তার জবানবন্দীতে ২৭/০২/২০২৫ ইং তারিখে হালিশহর, চুনা ফ্যাক্টরীর মোড়ে স্বীকারোক্তী প্রদান করেন ব্লাইং স্ট্যাম্প ও ব্লাইং চেক তার নিজের হেফাজতে রেখেছেন এবং ফেরত প্রসঙ্গে ঘোষনা দেয় আমমোক্তার নামা দলিলের শর্ত মোতাবেক ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা মো: আসাদুর রহমানকে দিবে না।
এমতাবস্হায়, অসৎ চিন্তা, সন্ত্রাসী মনোভাব এবং অমানবীক আচরনের ভিত্তিতে প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার চেস্টা ও বিদ্যমান প্রজেক্টটিতে রেখে আসা নির্মান সামগ্রী যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ১১ (এগার) লক্ষ টাকা আত্বসাতের অপচেস্টায় লিপ্ত ও ক্ষমতার অপব্যাবহারের অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে ষোলশহরস্হ বিএডিসির সদ্য সমাপ্ত কাজটিতে ব্যাপক ঘুষ, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, চুরি, চাঁদাবাজী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের লোমহর্ষক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।