চট্রগ্রামে বিএডিসির ঠিকাদার প্রতারক আসাদের বিরুদ্ধে পাহার সমতুল্য অভিযোগ ও একাধিক চেকের মামলা

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি : চট্রগ্রামে ঠিকাদার আসাদের বিরুদ্ধে পাহার সমতুল্য অভিযোগ। চেক, স্টাম্প দিয়ে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। প্রতারক আসাদের বিরুদ্ধে আছে একাধিক চেকের মামলা।

ঠিকাদার আসাদুর রহমান আসাদ নামে এক প্রতারকের সন্ধান মিলেছে বিএডিসির ষোলশহরস্হ ২,৩৪০০,০০০// (দুইকোটি চৌতিশ লক্ষ) টাকার প্রকল্পে।
বিএডিসির ভবন নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতারনা করে নিম্নমানের কাজ করার সত্যতা মিলেছে কমলা এন্টারপ্রাইজ এর ঠিকাদার আসাদের বিরুদ্ধে।
বিএডিসির অসাধু কর্মচারী কর্মকর্তাদের অনেককেই মোটা অংকের টাকা দিয়ে সুকৌশলে প্রতারনার আশ্রয় নেয় ঠিকাদার আসাদ। অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভবনটির নিম্নমানের কাজ করায় বিল্ডিং এর অর্ধেক অংশ ভেংগে পড়ে। আপত্তিকর কোন অডিট ছারায় বিএডিসির দুর্নীতিবাজ অফিসারকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে ভবনটির আবার নির্মান কাজ শুরু করেন ঠিকাদার আসাদের কমলা এন্টারপ্রাইজ।
প্রকল্পটি ২০২১ সালে শেষ করার কথা থাকলেও কমলা এন্টারপ্রাইজের ব্যাপক অনিয়মের কারনে আজও শেষ হয়নি ভবন নির্মানের প্রকল্পটি।

অনুসন্ধানে দেখা যায় এই ক্ষুদ্র প্রকল্পটির কাজ করার মত যোগ্যতা নেই আসাদের, প্রকল্পটি চলাকালীন চট্রগ্রামে বহু গরীব ধনীর কাছে কোটি টাকা লোন করে, প্রকল্পটি কোনভাবে বিক্রি করে পালিয়ে আসে চট্রগ্রাম হইতে ঠিকাদার আসাদ। প্রতারক আসাদের বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে ৬৫ (পয়ষট্টি) লক্ষ টাকার একটি মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। এছারাও একই পদ্ধতিতে চেক, স্টাম্প দিয়ে টাকা নেওয়ার কারনে আরো কোটি টাকার মামলা ঢাকা সিএমএম আদালতে বিচারাধীন আছে। ঠিকাদার আসাদের উদ্দেশ্যই প্রতারনা করা মর্মে অনেক ভুক্তভোগির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায় নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএডিসি দিলকুশা, কার্যালয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিএডিসির চেয়ারম্যানের ভাতিজা পরিচয়ে দালালী করে আসছে আসাদের নেতৃত্বে একটি চক্র। চক্রটি টেন্ডারবাজী, কমিশনের বিনিময় বিভিন্ন পিডির নিকট হইতে টেন্ডার বাগিয়ে নিয়ে কমিশনে বিক্রি করা সহ বিভিন্ন কৌশলে সরকারের শতশত, হাজার কোটি টাকা তছরুপ করে দিচ্ছে, ফাদে ফেলে অভিনব কায়দায় হাতিয়ে নিচ্ছে কুলি দিনমজুরের টাকা।
সাম্প্রতিক সময়ে ঠিকাদার আসাদের বিভিন্ন সমস্যা উত্তরনে তার যাবতীয় অভিযোগের তিনজন স্বাক্ষী সহ থানায় অভিযোগ দিতে বলায় সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানী দল চট্রগ্রামে সাংবাদিকদের অবস্হাকালীন সাংবাদিকদের না বলে পালিয়ে যান।
অনুসন্ধানে দেখা যায় আসাদ চেক স্টাম্প দিয়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে আছে।