বিচার ব্যবস্থাকে সংস্কার, গণতন্ত্রকে ধ্বংসের পরিকল্পনায় ইসরাইয়ের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জোরদার।

প্রকাশিত: ৮:২১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিচার ব্যবস্থাকে সংস্কার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে ইসরাইয়ের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, এ অভিযোগে এবার মাঠে নেমেছে দেশটির সাধারণ জনতা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থি এই সরকার। এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদও।
‘আমাদের সন্তানরা একজন স্বৈরশাসকের অধীনে বসবাস করবে না’ এমন শ্লোগান লেখা ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ইজরায়েলের তেলআবিবে মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে সেই সংখ্যা বলা হয়েছে আনুমানিক এক লাখেরও বেশি।
ইসরায়েলের চারটি ভিন্ন নগরীতে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো এত বড় গণবিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে নগরীর কেন্দ্রস্থল জুড়েও। গেলো এক দশকের মধ্যে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভগুলোর অন্যতম এটি। এই সরকার জনগণের জন্য বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নেতানিয়াহুর সরকার আদালত সংস্কারের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তার বিরুদ্ধেই ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ।
নেতানিয়াহুর জোট সরকার বিচার বিভাগের ক্ষমতা আমূল কমানোর পরিকল্পনা করেছে। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে খর্ব হবে, দুর্নীতির বিস্তার ঘটবে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।

 

 

বিচারবিভাগের ক্ষমতা কমানো হলে পার্লামেন্টের সদস্যরা ভবিষ্যতে আদালতকে উপেক্ষা করে এমন সব আইন পাস করতে পারবেন, যা আদালত এর আগে খারিজ করে দিয়েছে। এর ফলে ইসরায়েলে যে গণতান্ত্রিক ‘চেক এ্যান্ড ব্যালান্স’ বা ক্ষমতার ভারসাম্য আছে তা হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভে অংশ নেয়া বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ।
বর্তমানে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচার চলমান রয়েছে আদালতে। আগের দফায় প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ই তার বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চলেছে। এরমধ্যেই বিচারবিভাগকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। বিরোধীরা বলছে, নিজের দুর্নীতির মামলা থেকে রক্ষা পেতে নেতানিয়াহু বিচার বিভাগকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন। এটা করতে পারলে অভিযোগ থেকে রক্ষা পাবেন তিনি।