বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিতে তিনটি ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রতিয়মান।।

প্রকাশিত: ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রিতিনিধি: বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি তিন ঝুঁকিতে রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-অব্যাহতভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া, ডলারের বিপরীতে টাকার মানে নিম্নমুখীর প্রবণতা ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি। এসব কারণে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়ছে। যা অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ধরনের আঘাত করে যাচ্ছে।

এ কারণে সরকারের সার্বিক ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি ব্যয় মেটাতে বেড়েছে সরকারের ঋণনির্ভরতা। বৈদেশিক মুদ্রা আয়, রাজস্ব বাড়ানো ও ভর্তুকি কমানোর মাধ্যমেই এই চাপ কমানো সম্ভব।

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) এক পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের ঋণ আলোচনা চূড়ান্ত করার জন্য গত ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত এম সায়েহ। তিনি ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা সফর করেন। ওই সময় বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে আইএমএফ একটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সরকারকে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে।

ওই প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে আইএমএফের অ্যাকশন প্ল্যানও তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।

এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশ কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি এখনো স্বস্তিদায়ক। তবে স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমানোর ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলেছে, এ ধরনের ঋণের কারণে ঝুঁকি বাড়বে।

অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ পাচ্ছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঋণ প্রস্তাব আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় অনুমোদন হতে পারে। এটি হলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ পাওয়া যেতে পারে।

আইএমএফের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে বেশিমাত্রায়। এর বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমেছে। বৈশ্বিক অস্থিরতায় সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রবাহ কমে গেছে। এতে আমদানি ব্যয়ের প্রবল চাপে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। অব্যাহতভাবে রিজার্ভ কমে যাওয়াটা অর্থনীতির জন্য শঙ্কার কারণ।