বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদ।

প্রকাশিত: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বহু প্রত্যাশিত ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদ। সোমবার (৩০শে জানুয়ারি) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এতথ্য জানানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঋণদাতা সংস্থাটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ২.২ শতাংশ সুদে নেওয়া এই ঋণ আসবে সাত কিস্তিতে। ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম কিস্তির ৩৫২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার ছাড় হওয়ার আশা করছে সরকার। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে।

ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটে পড়া বাংলাদেশ রিজার্ভ বাড়াতে এমন অর্থের প্রত্যাশায় ছিল। বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে গত নভেম্বরে ঢাকায় কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ।

সেই ঋণচুক্তির শর্তসহ খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করেন আইএমএফের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। এরপর বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ এর নির্বাহী বোর্ডের সভায় ওঠে এবং অনুমোদন পায় বলে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, “আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।”

আইএমএফের এই ঋণ মঞ্জুরির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতার প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করেন মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, “অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তবা আমাদেরকে এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দুর্বল তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে।

“এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হল যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের উপরে দাড়িয়ে আছ এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।”