জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

প্রকাশিত: ১:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কবি, লেখক, নাট্যকার, নির্মাতা, সংগ্রাহক, গবেষক এবং অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের জন্য সংস্কৃতির চর্চা জরুরি। শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানী ঢাকার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

আবদুল হামিদ বলেন, “আমাদের সব সংস্কৃতিকে অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক উপাদান গুলো সংগ্রহ করে, দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই বহির্বিশ্বে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠবে।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি এখন গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সবার জীবনকে প্রভাবিত করেছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণে পৃথিবী এখন গ্রামে পরিণত হয়েছে। ফলে আকাশ সংস্কৃতি এখন বাস্তবতা।” তিনি আরো বলেন, “বিভিন্ন দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সাংস্কৃতিক চিন্তাধারা এবং মানসিকতাও একই গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে।”

“নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের জন্য সৃজনশীল ও মেধাবী জনশক্তি অপরিহার্য। আলোকিত মানুষই পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে;” উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি আরো বলেন, “আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বেদনা এবং গর্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে না দিই, তাহলে তারা আত্মসম্মানে সচেতন নাগরিক হিসাবে বেড়ে উঠবে না।” প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিকড় খুঁজে বের করার এবং গৌরবময় অতীতের কথা বলার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান মহামান্য রাষ্ট্রপতি।