আওয়ামী লীগ যে উন্নয়নের সূচনা করেছে, তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করবেঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও দুর্নীতিবাজরা যাতে আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যে উন্নয়নের সূচনা করেছে, তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করবে।”

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শনিবার (২২ এপ্রিল) গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, বিচারক ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “তারা ক্ষমতায় এলে আবারো এই দেশকে ধ্বংস করে দেবে এবং আমাদের সব অর্জন শেষ হয়ে যাবে।” তিন বছর পর ব্যক্তিগতভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে এই অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ ছিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়নের সূচনা করেছে, তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে পারে। আমরা ২০২৬ সাল থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু করবো… আমরা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছি। আর, আওয়ামী লীগ জনগণের সেবায় আছে এবং থাকবে।” তিনি বলেন, “আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা…তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমার কর্তব্য।”

২০১৩-১৪ এবং ২০১৫ সালে বিএনপি ও জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরেন।তিনি বলেন, “বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকতে পারে।” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নেভাতে বাধা দেয়া এবং তাদের ওপর হামলা করা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।”

শেখ হাসিনা বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত রেখেছে। মাত্র ১৪ বছরে সরকার বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে।” ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে এবং সরকার দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছে।”

মহামারীর সময়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষকে সাহায্য করার জন্য শেখ হাসিনা জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও দলের নেতাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তিনি জানান, “বর্তমানে চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে এবং দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না এবং দেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্রমুক্ত ঘোষণা করা হবে।”

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে দলের নেতা-কর্মী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন ও পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তিনি বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, এবং সচিব পদমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।