বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ দেখতে চাই ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ২, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ দেখতে চান বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১ মে) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের শিহাতা সম্মেলন কক্ষে, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ডের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়কালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থে নির্মিত পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ১২০ কোটি ডলার ঋণ বাতিলের জন্য বহিরাগত চাপকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “আমি দুঃখিত যে বহিরাগত চাপের কারণে বিশ্বব্যাংক এরূপ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে (পদ্মা বহুমুখী সেতু) অর্থায়ন থেকে সরে এসেছে।” তিনি বলেন, “আমরা এখন আমাদের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যত দেখতে চাই।”

২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুত ঋণ বাতিল করা হলেও, বাংলাদেশ সেতু প্রকল্প স্ব-অর্থায়নে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং গত বছরের ২৫ জুন এটি উদ্বোধন করে।

বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছেন। তিনি বিশ্বব্যাংককে তার দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়ন অর্থায়নের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি মনোযোগী থাকতে আহবান জানান।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশে ১৫০০ কোটি ডলারের ৫৩টি প্রকল্পে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রকল্পগুলো, বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত দেয়া বিশ্বব্যাংকের ৩৯০০ কোটি ডলার অনুদান এবং ঋণের অংশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং গ্রহণ ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ তার ঋণ পরিশোধে কখনোই খেলাপি হয়নি; বা তথাকথিত ‘ঋণের ফাঁদে’ পড়েনি।অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট মেগা-প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে মানুষের পুঁজি গঠনে বাংলাদেশের শক্তিশালী পারফরম্যান্স মিলেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের নিজস্ব আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সংস্থান দিয়ে ছয় দশমিক এক কিলোমিটার পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ আমাদের অর্থনৈতিক পরিপক্কতার লক্ষণ। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে; কারণ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার মাধ্যমে জনগণের কাছে তার কথা রেখেছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হওয়ার পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।”