যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অচিরেই শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবেঃ কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।

প্রকাশিত: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ, মে ৩, ২০২৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি ঃ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্ববায়ক জামাল হোসেন হত্যা ঘটনার তদন্ত কাজ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে যারাই জড়িত তাদের অচিরেই শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত করবো। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে অভিযুক্ত করে আমরা দ্রুত বিচারের আওতায় আনবো। আর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশকে সহযোগিতা করা এবং এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।
হত্যার রহস্য উদঘাটনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জামাল হত্যার ঘটনাস্থল গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকা পরিদর্শন কালে  প্রিন্ট্র ও ইলেকন্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন
কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)। এসময় জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, কুমিল্লা সিআইডি পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, কুমিল্লা পিবিআই পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, কুমিল্লা র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আফজাল হোসেন, সিআইডি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক, কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা সার্কেল) মোঃ মুহসীন।
এসময় দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা, গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস সাথে ছিলেন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে নিহত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের মরদেহ তার নিজ গ্রাম তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি (নোয়াগাঁও) গ্রামে এসে পৌঁছলে এক হ্নদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এসময় আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এলাকাবাসীরা জামাল হোসেন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করে ফাঁসি রায় কার্যকর করার জোরালো দাবি জানান।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
উল্লেখ,গত ৩০ এপ্রিল রবিবার রাত আনুমানিক ৮টায় দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় বোরখা পড়া দুর্বৃত্তদের গুলিতে জামাল হোসেন (৪০) নিহত হন। সে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এবং একই উপজেলার জিয়ারকান্দি (নোয়াগাঁও) গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।