মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের বৈধতার নামে প্রতারনার অভিযোগে এক নারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ।

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৩
আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক : মালয়েশিয়ায় কাগজপত্র বিহীন প্রবাসী কর্মীদের বৈধতার নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। তাদের থেকে ৩৬৭ টি বাংলাদেশী পাসপোর্ট, সিআইডিবি কার্ড, ল্যাপটপ, নগদ অর্থসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে ৪৮ বছর বয়সী স্থানীয় এক নারী ও ৩ বাংলাদেশি রয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগের পরিচালক শামসুল বদরিন মহসিন।
তবে অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে এখনও আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাধারণ প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছিল চক্রটির সদস্যরা।
এ সময় অভিবাসন বিভাগের পরিচালক শামসুল বদরিন বলেন, কুয়ালালামপুর অভিবাসন এনফোর্সমেন্ট বিভাগের অপারেশন ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার পৃথক দুটি অভিযানে কুয়ালালামপুরের তামান মেলাতি উতামারে একটি আবাসিক ভবনে এবং তামান শ্রী রামপাইয়ের একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
অভিযানে ওই নারীর বাসভবন থেকে ৩১৪টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও প্রিন্টার, নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন বোর্ডের (সিআইডিবি) ১৭টি কার্ড, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি স্মার্টফোন, সাতটি ব্যাংক কার্ড এবং নগদ ৬১ হাজার ৫৫০ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) জব্দ করা হয়।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তামান শ্রী রামপাইয়ের একটি অফিসে ২য় অভিযানে ৫৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, কম্পিউটার ও প্রিন্টিং মেশিন, ১৯৮টি সিআইডিবি কার্ড, ছয়টি বিদেশি কর্মী কার্ড (আই-ক্যাড), সাতটি পেমেন্ট রেকর্ড বই, আটটি কোম্পানির ফাইল, তিনটি কোম্পানির লাইসেন্স, একটি ইউনিট সিসিটিভি ডিকোডার ও একটি স্মার্টফোন ইউনিট জব্দ করে।
৪৮ বছর বয়সী ওই নারী গত এক বছর ধরে তার কর্মকাণ্ডের ফলে নিজেকে একজন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের এজেন্ট বলে দাবি করে আসছিল। এই চক্রটি কাগজপত্র বিহীন বাংলাদেশিদের বৈধতা দেয়ার নামে জনপ্রতি ৮ হাজার ৩০০ রিঙ্গিত এবং ২ হাজার রিঙ্গিতের বিনিময়ে ‘রিক্যালিব্রেশন-২.০’ এর আওতায় রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার অফার দিয়ে আসছিল।
প্রাথমিক তদন্তে তিনি আরও জানান, ওই নারীকে ক্লায়েন্ট পেতে বাংলাদেশি কিছু দালাল সহায়তা দিয়ে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরও তদন্তের জন্য পাসপোর্ট আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে তিন বাংলাদেশি পুরুষকে আটক করা হয়। বর্তমানে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।