নতুন অর্থসচিব নিয়ে আলোচনায় আছে পাঁচজন সচিবের নাম। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২৩ স্টাফ রিপোর্টার : অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি এই পদে নিয়োগ পেলেন। আগামী মাসের শেষ দিকে তিনি এডিবিতে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। ফলে নতুন অর্থসচিব কে হচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা আছে প্রশাসনে। এই পদে পাঁচজন সচিবের নাম আলোচিত হচ্ছে সর্বত্র। তাঁরা হলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তাঁদের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান রয়েছেন বেশি আলোচনায়। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ ব্যক্তির মতামতকেও অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে জানান প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের মতে, সে ক্ষেত্রে আলোচিত পাঁচজনের বাইরে থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর। তাঁর সম্মতি সাপেক্ষে চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এবং ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্থ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে নতুন অর্থসচিব হিসেবে তাঁর নামই বেশি আলোচনা হচ্ছে। নতুন অর্থসচিব পদে ইআরডি সচিব শরিফা খানের নামও জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, বর্তমান অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের ব্যাচমেট হিসেবে একজন নারী সচিবের বদলে শরিফা খানকে বেছে নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। শরিফা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ে ডিপ্লোমা ও মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি পরিকল্পনা কমিশনেরও সদস্য ছিলেন। কেউ কেউ বলছেন, নতুন অর্থসচিব হতে পারেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। চাকরিজীবনে দুই দফায় ১৩ বছর অর্থ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে ছিলেন। ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব পদে যোগ দেন। অর্থসচিব পদে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। এই কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০১৮ সালের ৭ জুন থেকে ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই পদে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকারের নামও শোনা যাচ্ছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি অর্থ বিভাগের উপসচিব এবং ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৮ মে পর্যন্ত একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। SHARES জাতীয় বিষয়:
স্টাফ রিপোর্টার : অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি এই পদে নিয়োগ পেলেন। আগামী মাসের শেষ দিকে তিনি এডিবিতে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। ফলে নতুন অর্থসচিব কে হচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা আছে প্রশাসনে। এই পদে পাঁচজন সচিবের নাম আলোচিত হচ্ছে সর্বত্র। তাঁরা হলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তাঁদের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান রয়েছেন বেশি আলোচনায়। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ ব্যক্তির মতামতকেও অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে জানান প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের মতে, সে ক্ষেত্রে আলোচিত পাঁচজনের বাইরে থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর। তাঁর সম্মতি সাপেক্ষে চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এবং ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্থ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে নতুন অর্থসচিব হিসেবে তাঁর নামই বেশি আলোচনা হচ্ছে। নতুন অর্থসচিব পদে ইআরডি সচিব শরিফা খানের নামও জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, বর্তমান অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের ব্যাচমেট হিসেবে একজন নারী সচিবের বদলে শরিফা খানকে বেছে নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। শরিফা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ে ডিপ্লোমা ও মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি পরিকল্পনা কমিশনেরও সদস্য ছিলেন। কেউ কেউ বলছেন, নতুন অর্থসচিব হতে পারেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। চাকরিজীবনে দুই দফায় ১৩ বছর অর্থ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে ছিলেন। ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব পদে যোগ দেন। অর্থসচিব পদে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। এই কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০১৮ সালের ৭ জুন থেকে ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই পদে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকারের নামও শোনা যাচ্ছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি অর্থ বিভাগের উপসচিব এবং ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৮ মে পর্যন্ত একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।