সেপ্টেম্বর২০২৩ এ উদ্বোধন হবে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্প : হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের সময় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২, খুলনা-মোংলা বন্দর রেলওয়ে লাইন এবং আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে সংযোগের কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন। তিনি তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এ তথ্য জানান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

ফোরামের বর্তমান সভাপতি ভারতের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২ এবং খুলনা-মোংলা বন্দর রেলওয়ে লাইন ভারতীয় ঋণ-এর (এলওসি) অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং আখাউড়া-আগরতলা রেল-সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে ভারতীয় অনুদানে।

প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার অনুমতি দেয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আশা করেন, ভুটান থেকে ভারতের গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে।

টাকা-রুপি বিনিময় ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উল্লেখ করেন, ক্রেডিট কার্ডের মতো দুই ধরনের কার্ড ইস্যু করা হবে। একটি রুপি কার্ড এবং অন্যটি টাকা কার্ড। তিনি বলেন, “উভয় পক্ষই এই কার্ডগুলো ইস্যু করবে যাতে দুই দেশের মানুষ তাদের অর্থপ্রদানের জন্য এই কার্ডগুলো ব্যবহার করতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশর বিপুল সংখ্যক নাগরিক বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভারতে যান এবং তারা এই কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।” প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বৈঠকে কানেক্টিভিটি, ভারতীয় এলওসি-এর অধীনে চলমান প্রকল্প এবং অনুদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।

ভারতের হাইকমিশনার, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ উদ্যোগের প্রশংসা করেন।প্রেস সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন যে তারা একটি খুব ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত সারা বিশ্বের পাশাপাশি, দক্ষিণ বিশ্বের জন্য তার আহ্বান তুলে ধরবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অপেক্ষায় রয়েছে।