তানজিম সাকিব রাষ্ট্রদ্রোহী, তার শাস্তি দাবি করছি : জ্যোতি

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
জ্যোতিকা জ্যোতি ও তানজিম সাকিব (বাঁ থেকে)

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্টের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। বিষয়টি জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল তানজিম সাকিবের অতীতের কিছু পোস্ট। যেখানে কর্মজীবী নারীদের হেয় করে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তানজিমের এসব পোস্ট নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক চলছে ফেসবুকে। শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আরজে নিরব ইতিমধ্যে তানজিম সাকিবের মতের পক্ষে কথা বলেছেন। তবে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি সমালোচনা করলেন সাকিবের।

নিজের ফেসবুক হ্যান্ডলে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘তানজিম হাসান সাকিব বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড়। কিন্তু সে এ দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং বিজয় দিবস পালন করাকে ঘৃণা করে। তাহলে সে এ দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার অধিকার রাখে কি? এ রকম রাষ্ট্রদ্রোহী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বিসিবি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা রাখি।’

তিনি বলেন, ‘এই ক্রিকেটার পেশাজীবী নারীদের নিয়ে যে নোংরা মন্তব্য করেছে, একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে আমার সক্ষমতা-যোগ্যতা ও স্বাধীনতাকে তা চরমভাবে অপমান করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন হীন মন্তব্যকারী ক্রিকেটারের আইনগত শাস্তি দাবি করছি আমি। দেশের লক্ষ-কোটি কর্মজীবী নারীদের নিয়ে এমন বিদ্বেষ ছড়ানো খেলোয়াড়কে বাংলাদেশের জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাই।’
জ্যোতি বলেন, ‘আমি জানি এ প্রসঙ্গে চুপ থাকাই নিরাপদ ভেবে অনেকেই চুপ থাকবে, আবার নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করতে গিয়ে কিছু লোক ইনিয়েবিনিয়ে ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার কথা বলবে। কিন্তু এই দুটোই ভয়ংকর। অন্যায় করা আর অন্যায় মেনে নেওয়া সমান অপরাধ বলে আমি মনে করি।

আর বাকস্বাধীনতা যদি হয় অন্যকে অপমান, কুসংস্কার ছড়ানো তাহলে সেটা নিশ্চয় বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না। আমি স্পষ্টভাবে তাই আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি।’
নারীবিদ্বেষ ও ধর্মান্ধতা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘মগজ ভর্তি নারীবিদ্বেষ ও ধর্মান্ধতা নিয়ে যেকোনো মানুষ বাঁচতেই পারে, সেটা তার মতাদর্শ। কিন্তু যখন একজন প্রকাশ্যে সেসব পিছিয়ে থাকা মতাদর্শ নিয়ে বর্বর সময়কে ইঙ্গিত করে, তখন সেই মতাদর্শকে আর বাড়তে দেওয়া ঠিক না। সাধারণ মানুষ হলেও এড়িয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটার, যার লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার, তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যায় না। তাহলে ঘৃণার চাষাবাদ বাড়তে বাড়তে দেশ আইয়ামে জাহেলিয়ার দিকে এগোবে।’