রুগ্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করছে শিল্প মন্ত্রণালয় ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিবেদক সমস্যা সমাধান, পরিকল্পনা নেওয়া ও প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা করতে এই প্রথম রুগ্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। গত ১৫ নভেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সঞ্জয় কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান এই আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বিরাজমান রুগ্ণ শিল্পগুলোর সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন এবং করোনা পরিস্থিতিসহ বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০১২ সালের পর রুগ্ণ হওয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়নের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে। আবেদন ফরম শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর এফবিসিসিআই, বিএপিআরআই, নাসিব, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বাংলাদেশ সিক ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদন আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে। তালিকা প্রণয়নের বিষয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে তাদের তালিকা করে চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হবে। রুগ্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সুদ মওকুফ করার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের প্রতিষ্ঠান বা কারখানা যেন চালাতে পারে, ঘুরে দাঁড়াতে পারে—এ জন্য এই তালিকা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে।’ এদিকে মওকুফ শিল্পের সংজ্ঞায় শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তার নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিবিধ কারণে যেমন সরকারি নীতির আকস্মিক পরিবর্তন বা গৃহীত নীতির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া, বাজার বিনষ্ট হয়ে যাওয়া, একতরফাভাবে ঋণচুক্তির শর্ত ভঙ্গ, ট্যাক্স-ট্যারিফসংক্রান্ত বিরূপ প্রভাব, ডিসট্রেস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, চলতি মূলধনের দুষ্প্রাপ্যতা ইত্যাদি অনুমিত উৎপাদন বা উপার্জন মাত্রা অর্জন করতে পারেনি। একই সঙ্গে এসব কারণে ক্রমাগত তিন বছর আর্থিকভাবে লোকসানগ্রস্ত বা না লাভ; না লোকসান মাত্রা (ব্রেক ইভেন পয়েন্ট) অতিক্রম করতে পারেনি সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানই রুগ্ণ শিল্প বলে বিবেচিত হবে।’ এদিকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ৮০টি শিল্পনগরীতে স্থাপিত শিল্প ইউনিটের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৭৫৯টি। এর মধ্যে রুগ্ণ বা বন্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৫৯টি। এর বাইরে সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই। SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: রুগ্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানশিল্প মন্ত্রণালয়
সমস্যা সমাধান, পরিকল্পনা নেওয়া ও প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা করতে এই প্রথম রুগ্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। গত ১৫ নভেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সঞ্জয় কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান এই আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বিরাজমান রুগ্ণ শিল্পগুলোর সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন এবং করোনা পরিস্থিতিসহ বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০১২ সালের পর রুগ্ণ হওয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়নের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।
সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে। আবেদন ফরম শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর এফবিসিসিআই, বিএপিআরআই, নাসিব, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বাংলাদেশ সিক ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদন আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
তালিকা প্রণয়নের বিষয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে তাদের তালিকা করে চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হবে। রুগ্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সুদ মওকুফ করার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের প্রতিষ্ঠান বা কারখানা যেন চালাতে পারে, ঘুরে দাঁড়াতে পারে—এ জন্য এই তালিকা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে।’
এদিকে মওকুফ শিল্পের সংজ্ঞায় শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তার নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিবিধ কারণে যেমন সরকারি নীতির আকস্মিক পরিবর্তন বা গৃহীত নীতির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া, বাজার বিনষ্ট হয়ে যাওয়া, একতরফাভাবে ঋণচুক্তির শর্ত ভঙ্গ, ট্যাক্স-ট্যারিফসংক্রান্ত বিরূপ প্রভাব, ডিসট্রেস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, চলতি মূলধনের দুষ্প্রাপ্যতা ইত্যাদি অনুমিত উৎপাদন বা উপার্জন মাত্রা অর্জন করতে পারেনি। একই সঙ্গে এসব কারণে ক্রমাগত তিন বছর আর্থিকভাবে লোকসানগ্রস্ত বা না লাভ; না লোকসান মাত্রা (ব্রেক ইভেন পয়েন্ট) অতিক্রম করতে পারেনি সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানই রুগ্ণ শিল্প বলে বিবেচিত হবে।’ এদিকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ৮০টি শিল্পনগরীতে স্থাপিত শিল্প ইউনিটের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৭৫৯টি। এর মধ্যে রুগ্ণ বা বন্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৫৯টি। এর বাইরে সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই।