ছেলে, অনুসারীদের আসন নিয়েই জাপায় যত বিভেদ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি রওশন এরশাদ ও তাঁর অনুসারীরা মনোনয়ন ফরম না নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় পার্টির (জাপা) বিভেদ সামনে আসে। এ বিভেদ না মিটিয়েই ২৮৯ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন। রওশনপন্থী একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ ও নিজ অনুসারীদের মনোনয়ন না দিলে রওশন নির্বাচনে যাবেন না। রওশন তাঁর পছন্দের কয়েকজন নেতার নাম দিয়ে তাঁদের মনোনয়ন দিতে বলেছিলেন। এর মধ্যে ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।তবে গত সোমবার দলের বনানীর কার্যালয়ে প্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে রংপুর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)। এ ছাড়া, ওই তালিকায় জায়গা হয়নি রওশন অনুসারী মসিউর রহমান রাঙ্গা, গোলাম মসীহ, কাজী মামুনুর রশিদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারওয়ার মিলন, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা, নুরুল ইসলাম, কে আর ইসলাম, ইকবাল হোসেন রাজুসহ বেশ কয়েকজনের। মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার পর একটি গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের সমালোচনাও করেন। বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন পরগাছা দলে রূপান্তর হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে আর কতদিন?’ এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন রাঙ্গা। দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন ঘোষণার আগে থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন রওশন ও তাঁর অনুসারীরা। অপরদিকে রওশনের পক্ষ নিয়ে বহিষ্কার হওয়া মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধাসহ আরো কয়েকজনকে দলে ফিরিয়ে মনোনয়ন দিতে চাননি জি এম কাদের। এর প্রতিক্রিয়ায় রওশনও ফরম নিতে রাজি হননি। বর্তমানে দলের বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি কাজ করছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টির সূত্র। ওই ব্যক্তি দুই পক্ষের সঙ্গে পৃথক বৈঠকও করেছেন। এ প্রসঙ্গে রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ বলেন, রওশন এরশাদ সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে যেতে চান। কিন্তু তাঁদের নির্বাচনে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা রাখেনি দলের চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীরা। এমনকি মনোনয়ন ফরমও দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য এসেছে মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর কাছে থেকে। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। জাতীয় পার্টি জি এম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। SHARES রাজনীতি বিষয়: #জাতীয় পার্টি
রওশন এরশাদ ও তাঁর অনুসারীরা মনোনয়ন ফরম না নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় পার্টির (জাপা) বিভেদ সামনে আসে। এ বিভেদ না মিটিয়েই ২৮৯ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন। রওশনপন্থী একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ ও নিজ অনুসারীদের মনোনয়ন না দিলে রওশন নির্বাচনে যাবেন না।
রওশন তাঁর পছন্দের কয়েকজন নেতার নাম দিয়ে তাঁদের মনোনয়ন দিতে বলেছিলেন। এর মধ্যে ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।তবে গত সোমবার দলের বনানীর কার্যালয়ে প্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে রংপুর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)। এ ছাড়া, ওই তালিকায় জায়গা হয়নি রওশন অনুসারী মসিউর রহমান রাঙ্গা, গোলাম মসীহ, কাজী মামুনুর রশিদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারওয়ার মিলন, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা, নুরুল ইসলাম, কে আর ইসলাম, ইকবাল হোসেন রাজুসহ বেশ কয়েকজনের।
মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার পর একটি গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের সমালোচনাও করেন। বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন পরগাছা দলে রূপান্তর হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে আর কতদিন?’ এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন রাঙ্গা। দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন ঘোষণার আগে থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন রওশন ও তাঁর অনুসারীরা।
অপরদিকে রওশনের পক্ষ নিয়ে বহিষ্কার হওয়া মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধাসহ আরো কয়েকজনকে দলে ফিরিয়ে মনোনয়ন দিতে চাননি জি এম কাদের। এর প্রতিক্রিয়ায় রওশনও ফরম নিতে রাজি হননি। বর্তমানে দলের বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি কাজ করছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টির সূত্র। ওই ব্যক্তি দুই পক্ষের সঙ্গে পৃথক বৈঠকও করেছেন। এ প্রসঙ্গে রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ বলেন, রওশন এরশাদ সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে যেতে চান।
কিন্তু তাঁদের নির্বাচনে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা রাখেনি দলের চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীরা। এমনকি মনোনয়ন ফরমও দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য এসেছে মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর কাছে থেকে। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। জাতীয় পার্টি জি এম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।