মিরপুর টেস্ট হেরে সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশের ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি ৬৯ রানে ৬ উইকেট নেই। বাংলাদেশের দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্যটা তখন নিউজিল্যান্ডের জন্য দূর আকাশের তারা। তখনো কে জানত, এখান থেকে কিউইরা মিরপুর টেস্ট ৪ উইকেটে জিতবে। এই জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে সমতা ফিরিয়ে শেষ করল সফরকারীরা। গলার কাঁটা হয়ে থাকা গ্লেন ফিলিপসই বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ফিলিপসের দৃঢতায় ৪৬ রানে ৫ উইকেট থেকে ১৮০ রানে থেমেছিল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ৭২ বলে ৮৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন ফিলিপস। কিউইরা পায় ৮ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসেও আরেকবার বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে যান ফিলিপস। তাঁর ৪৮ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস চতুর্থ ইনিংস ম্যাচে আরেকবার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। দুজনের ৭০ রানের জুটিতে তাঁর ৩৫ রান। এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। অথচ লক্ষ্য ছোট হলেও চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যাচে বাংলাদেশই এগিয়ে ছিল। ৬৯ রানে ৬ উইকেটের শুরুটা করেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁহাতি পেসার দুই রানে ফেরান কনওয়েকে। এরপর তাইজুলের বলে স্টাম্পড হন কিউইদের সেরা ব্যাটার উইলিয়ামসন। ১১ রান করেন তিনি। ২৪ রানে দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন হেনরি নিকোলাস। ল্যাথামের সঙ্গে তাঁর জুটিও লম্বা হয়নি। ৩৩ রানে নিকোলাসকে এলবিডাব্লিউ করে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। নিকোলাসের পর কিউইদের ভরসা হয়ে থাকা ল্যাথামও মিরাজের শিকারে পরিণত হন। ২৬ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এখান থেকে ২১ রানের ব্যবধানে আরো দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। টম ব্লান্ডেলকে তাইজুল ইসলাম ও ডেরিল মিচেলকে ফেরান মিরাজ। এই বিপর্যয়ের পর ফিলিপস ও স্যান্টনারের ম্যাচজয়ী সেই জুটি। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এ রকম কোনো জুটি পায়নি। ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে পেরেছে মাত্র ২৭ ওভার। তাতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ১৪৪ রানে। দুই কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনার বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন। এজাজ ৬টি ও স্যান্টনার ৩ উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের ইনিংসে বলার মতো স্কোর শুধু ওপেনার জাকির হাসানের। একের পর এক সঙ্গী হারানো জাকির নিজেই শেষ পর্যন্ত আউট হন ৫৯ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান এসেছে আগের দিন আউট হওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। তাইজুল ইসলাম ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। SHARES জাতীয় বিষয়: মিরপুর
নিজস্ব প্রতিনিধি ৬৯ রানে ৬ উইকেট নেই। বাংলাদেশের দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্যটা তখন নিউজিল্যান্ডের জন্য দূর আকাশের তারা। তখনো কে জানত, এখান থেকে কিউইরা মিরপুর টেস্ট ৪ উইকেটে জিতবে। এই জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে সমতা ফিরিয়ে শেষ করল সফরকারীরা।
গলার কাঁটা হয়ে থাকা গ্লেন ফিলিপসই বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ফিলিপসের দৃঢতায় ৪৬ রানে ৫ উইকেট থেকে ১৮০ রানে থেমেছিল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ৭২ বলে ৮৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন ফিলিপস। কিউইরা পায় ৮ রানের লিড।
দ্বিতীয় ইনিংসেও আরেকবার বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে যান ফিলিপস। তাঁর ৪৮ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস চতুর্থ ইনিংস ম্যাচে আরেকবার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। দুজনের ৭০ রানের জুটিতে তাঁর ৩৫ রান।
এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। অথচ লক্ষ্য ছোট হলেও চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যাচে বাংলাদেশই এগিয়ে ছিল। ৬৯ রানে ৬ উইকেটের শুরুটা করেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁহাতি পেসার দুই রানে ফেরান কনওয়েকে। এরপর তাইজুলের বলে স্টাম্পড হন কিউইদের সেরা ব্যাটার উইলিয়ামসন। ১১ রান করেন তিনি।
২৪ রানে দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন হেনরি নিকোলাস। ল্যাথামের সঙ্গে তাঁর জুটিও লম্বা হয়নি। ৩৩ রানে নিকোলাসকে এলবিডাব্লিউ করে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। নিকোলাসের পর কিউইদের ভরসা হয়ে থাকা ল্যাথামও মিরাজের শিকারে পরিণত হন। ২৬ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এখান থেকে ২১ রানের ব্যবধানে আরো দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। টম ব্লান্ডেলকে তাইজুল ইসলাম ও ডেরিল মিচেলকে ফেরান মিরাজ। এই বিপর্যয়ের পর ফিলিপস ও স্যান্টনারের ম্যাচজয়ী সেই জুটি। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এ রকম কোনো জুটি পায়নি। ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে পেরেছে মাত্র ২৭ ওভার। তাতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ১৪৪ রানে। দুই কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনার বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন। এজাজ ৬টি ও স্যান্টনার ৩ উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের ইনিংসে বলার মতো স্কোর শুধু ওপেনার জাকির হাসানের। একের পর এক সঙ্গী হারানো জাকির নিজেই শেষ পর্যন্ত আউট হন ৫৯ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান এসেছে আগের দিন আউট হওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। তাইজুল ইসলাম ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।