গাজায় আটক নগ্ন ফিলিস্তিনি পুরুষদের ভিডিও প্রকাশ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ইসরায়েলের হাতে আটক নগ্ন ফিলিস্তিনি পুরুষদের দেখা যাচ্ছে। পুরুষদের অন্তর্বাস পরিয়ে রাখা হয়েছে এবং তারা মাটিতে বসে আছে। ইসরায়েলি সেনারা তাদের পাহারা দিচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার জাবালিয়া ও শেজাইয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়াদের মধ্যে একজন স্বনামধন্য ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও রয়েছেন। শুক্রবার ( ৮ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি বিবিসিকে বলেন, ওই ব্যক্তিদের গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া ও শেজাইয়া থেকে আটক করা হয়েছে। এই স্থানগুলো হামাসের শক্ত ঘাঁটি এবং উত্তেজনার কেন্দ্র। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত এই ভিডিও ফুটেজকে জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বেসামরিক নাগরিকদের আটক ও তাদের নগ্ন করাকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বর্বর চিত্র বলে বর্ণনা করেছেন। হুসাম জমলত বলেন, ‘এটি মানবতার ইতিহাসের কিছু অন্ধকারতম অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ’ এই ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, যেসব ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে তাদের সবার সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার মতো বয়স হয়েছে এবং তাদেরকে ‘এমন এক এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে যেখান থেকে কয়েক সপ্তাহ আগেই বেসামরিক নাগরিকদের চলে যাওয়ার কথা ছিল।’ ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক ডজন পুরুষকে পায়ে চলা রাস্তায় সারিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তাদেরকে তাদের জুতা খুলতে বলা হয়েছে। জুতাগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। ইসরায়েলি সেনা এবং সাঁজোয়া যান তাদেরকে পাহারা দিচ্ছে। অন্য ছবিতে দেখা যায়, তাদেরকে সামরিক যানে করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি মিডিয়ায়, আটককৃতদের হামাসের আত্মসমর্পণ করা যোদ্ধা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। আরেকটি ছবি যেটি বিবিসি যাচাই করতে পারেনি, সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বুলডোজার দিয়ে তৈরি করা বালির গর্তের কাছে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ছবিগুলো সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আইডিএফ বাহিনী ও শিন বেত কর্মকর্তারা শত শত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এদের মধ্যে অনেকে গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।’ গাজায় বন্দিদের ‘অস্ত্র সমর্পণের’ দাবি করা ছবি নিয়ে প্রশ্ন গাজায় আটক নগ্ন ফিলিস্তিনি বন্দিদের ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করার কিছু ছবি নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একই দৃশ্যের দুটি ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বাস পরিহিত এক ব্যক্তি অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ মেনে মাটিতে অস্ত্র রাখছেন। কিন্তু দুটি ভিডিওর মধ্যে সামান্য পার্থক্য থাকার কারণে মনে করা হচ্ছে, কয়েকটি ‘ধাপে’ একাধিকবার ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। বিবিসি ভেরিফাই এই ফুটেজ যাচাই করে দেখেছে এবং তারা বলছে যে, দুটি ভিডিও একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধারণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মোট তিনটি বন্দুক সমর্পণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি এবং ভিডিও প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দুটি আলাদা ভিডিওতে কিছুটা ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে এবং এগুলো গত ৯ ডিসেম্বর শনিবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, কয়েক বারের প্রচেষ্টায় এই ভিডিওগুলো ধারণ করা হয়েছে। অনেকেই কীভাবে একই ব্যক্তি দুটি ভিডিওতে ভিন্ন হাতে বন্দুক ধরেছে তার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার পাশে আরো কয়েক ডজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে দেখছেন। তারাও অন্তর্বাস পরিহিত এবং তাদের অনেকেই অস্ত্র ও পরিচয়পত্র ওপরে তুলে ধরে আছেন। বিবিসি ভেরিফাই জানতে পেরেছে, তারা জাবালিয়ার উত্তরে বেইত লাহিয়া শহরে জাতিসংঘের একটি স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। একটি ভিডিও প্রথমে ধারণ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে একজন ব্যক্তি তার ডান হাত দিয়ে একটি বন্দুক ফুটপাতে রাখা আরেকটি বন্দুকের ওপর রাখছেন। পরের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি আরেকটি বন্দুক এনে বাঁ হাত দিয়ে অন্যগুলোর ওপর রাখছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি বন্দুক রাখা হয়েছে এবং অন্যটিতে দেখা যাচ্ছে রাস্তার ওপর তিনটি বন্দুক ও ম্যাগজিন রাখা রয়েছে। এই ফুটেজ আরো কিছু প্রশ্ন সামনে এনেছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, তা হচ্ছে ওই ব্যক্তিদের অস্ত্রের মুখে রাখা হয়েছিল এবং তাদেরকে ক্যামেরার পেছন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল। তাই এটা স্পষ্ট নয় যে তারা কি আসলে অস্ত্র ‘সমর্পণ’ করছিল নাকি তারা শুধু নির্দেশ মোতাবেক অস্ত্রগুলো সরিয়ে রাখছিল। কারণ ওই ব্যক্তিকে শুধু অন্তর্বাস পরে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং তার সেগুলো নিজে লুকিয়ে রাখার মতো অবস্থাও ছিল না। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এসব অস্ত্র সম্পর্কে জানতো না, এমন সম্ভাবনাও খুবই কম। অর্থাৎ বাস্তবিকপক্ষে সমর্পণের পরিবর্তে শুধু ক্যামেরায় ধারণ করার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। ভিডিওর পাশাপাশি ছবিও প্রকাশিত হচ্ছে, যেগুলো একটু ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা হয়েছে। এর থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, এই ঘটনা একাধিক ব্যক্তি এবং একাধিক ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ধারণা করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আটককৃত পুরুষদের এই ছবিটি বিবিসি প্রথমে যাচাই করে। গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকেই। বন্দিদের সঙ্গে হওয়া আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। রেড ক্রস ইতোমধ্যে বলেছে যে, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই বন্দিদের সঙ্গে আচরণ করা উচিত। কিন্তু গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যা অর্জন করছে, তার প্রমাণ দেখাতে আগ্রহী দেশটি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই ভিডিও নিয়ে ওঠা প্রশ্ন বা সন্দেহের ব্যাপারে সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তর বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, বন্দিদের প্রতি আন্তর্জাতিক আইন মেনে আচরণ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের পোশাক খুলে দেওয়াটা প্রায়ই দরকার হয়, কারণ তল্লাশি করে নিশ্চিত হতে হয়, সেখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য বা অন্য কোনো অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিনা। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #গাজাফিলিস্তিনি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ইসরায়েলের হাতে আটক নগ্ন ফিলিস্তিনি পুরুষদের দেখা যাচ্ছে। পুরুষদের অন্তর্বাস পরিয়ে রাখা হয়েছে এবং তারা মাটিতে বসে আছে। ইসরায়েলি সেনারা তাদের পাহারা দিচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার জাবালিয়া ও শেজাইয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
আটক হওয়াদের মধ্যে একজন স্বনামধন্য ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও রয়েছেন। শুক্রবার ( ৮ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি বিবিসিকে বলেন, ওই ব্যক্তিদের গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া ও শেজাইয়া থেকে আটক করা হয়েছে। এই স্থানগুলো হামাসের শক্ত ঘাঁটি এবং উত্তেজনার কেন্দ্র। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত এই ভিডিও ফুটেজকে জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বেসামরিক নাগরিকদের আটক ও তাদের নগ্ন করাকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বর্বর চিত্র বলে বর্ণনা করেছেন।
হুসাম জমলত বলেন, ‘এটি মানবতার ইতিহাসের কিছু অন্ধকারতম অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ’ এই ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, যেসব ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে তাদের সবার সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার মতো বয়স হয়েছে এবং তাদেরকে ‘এমন এক এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে যেখান থেকে কয়েক সপ্তাহ আগেই বেসামরিক নাগরিকদের চলে যাওয়ার কথা ছিল।’ ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক ডজন পুরুষকে পায়ে চলা রাস্তায় সারিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তাদেরকে তাদের জুতা খুলতে বলা হয়েছে। জুতাগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনা এবং সাঁজোয়া যান তাদেরকে পাহারা দিচ্ছে। অন্য ছবিতে দেখা যায়, তাদেরকে সামরিক যানে করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি মিডিয়ায়, আটককৃতদের হামাসের আত্মসমর্পণ করা যোদ্ধা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। আরেকটি ছবি যেটি বিবিসি যাচাই করতে পারেনি, সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বুলডোজার দিয়ে তৈরি করা বালির গর্তের কাছে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ছবিগুলো সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
কিন্তু মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আইডিএফ বাহিনী ও শিন বেত কর্মকর্তারা শত শত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এদের মধ্যে অনেকে গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।’ গাজায় বন্দিদের ‘অস্ত্র সমর্পণের’ দাবি করা ছবি নিয়ে প্রশ্ন গাজায় আটক নগ্ন ফিলিস্তিনি বন্দিদের ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করার কিছু ছবি নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একই দৃশ্যের দুটি ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বাস পরিহিত এক ব্যক্তি অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ মেনে মাটিতে অস্ত্র রাখছেন। কিন্তু দুটি ভিডিওর মধ্যে সামান্য পার্থক্য থাকার কারণে মনে করা হচ্ছে, কয়েকটি ‘ধাপে’ একাধিকবার ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। বিবিসি ভেরিফাই এই ফুটেজ যাচাই করে দেখেছে এবং তারা বলছে যে, দুটি ভিডিও একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধারণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মোট তিনটি বন্দুক সমর্পণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি এবং ভিডিও প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দুটি আলাদা ভিডিওতে কিছুটা ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে এবং এগুলো গত ৯ ডিসেম্বর শনিবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, কয়েক বারের প্রচেষ্টায় এই ভিডিওগুলো ধারণ করা হয়েছে। অনেকেই কীভাবে একই ব্যক্তি দুটি ভিডিওতে ভিন্ন হাতে বন্দুক ধরেছে তার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার পাশে আরো কয়েক ডজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে দেখছেন। তারাও অন্তর্বাস পরিহিত এবং তাদের অনেকেই অস্ত্র ও পরিচয়পত্র ওপরে তুলে ধরে আছেন। বিবিসি ভেরিফাই জানতে পেরেছে, তারা জাবালিয়ার উত্তরে বেইত লাহিয়া শহরে জাতিসংঘের একটি স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। একটি ভিডিও প্রথমে ধারণ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে একজন ব্যক্তি তার ডান হাত দিয়ে একটি বন্দুক ফুটপাতে রাখা আরেকটি বন্দুকের ওপর রাখছেন। পরের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি আরেকটি বন্দুক এনে বাঁ হাত দিয়ে অন্যগুলোর ওপর রাখছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি বন্দুক রাখা হয়েছে এবং অন্যটিতে দেখা যাচ্ছে রাস্তার ওপর তিনটি বন্দুক ও ম্যাগজিন রাখা রয়েছে। এই ফুটেজ আরো কিছু প্রশ্ন সামনে এনেছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, তা হচ্ছে ওই ব্যক্তিদের অস্ত্রের মুখে রাখা হয়েছিল এবং তাদেরকে ক্যামেরার পেছন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল। তাই এটা স্পষ্ট নয় যে তারা কি আসলে অস্ত্র ‘সমর্পণ’ করছিল নাকি তারা শুধু নির্দেশ মোতাবেক অস্ত্রগুলো সরিয়ে রাখছিল। কারণ ওই ব্যক্তিকে শুধু অন্তর্বাস পরে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং তার সেগুলো নিজে লুকিয়ে রাখার মতো অবস্থাও ছিল না। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এসব অস্ত্র সম্পর্কে জানতো না, এমন সম্ভাবনাও খুবই কম। অর্থাৎ বাস্তবিকপক্ষে সমর্পণের পরিবর্তে শুধু ক্যামেরায় ধারণ করার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। ভিডিওর পাশাপাশি ছবিও প্রকাশিত হচ্ছে, যেগুলো একটু ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা হয়েছে। এর থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, এই ঘটনা একাধিক ব্যক্তি এবং একাধিক ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ধারণা করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আটককৃত পুরুষদের এই ছবিটি বিবিসি প্রথমে যাচাই করে। গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকেই। বন্দিদের সঙ্গে হওয়া আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। রেড ক্রস ইতোমধ্যে বলেছে যে, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই বন্দিদের সঙ্গে আচরণ করা উচিত। কিন্তু গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যা অর্জন করছে, তার প্রমাণ দেখাতে আগ্রহী দেশটি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই ভিডিও নিয়ে ওঠা প্রশ্ন বা সন্দেহের ব্যাপারে সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তর বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, বন্দিদের প্রতি আন্তর্জাতিক আইন মেনে আচরণ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের পোশাক খুলে দেওয়াটা প্রায়ই দরকার হয়, কারণ তল্লাশি করে নিশ্চিত হতে হয়, সেখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য বা অন্য কোনো অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিনা।