যাবজ্জীবন দণ্ডিত জি কে শামীমকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিবেদক অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি ও মো. নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি। পরে আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি কালের কণ্ঠকে বলেন, অস্ত্র মামলায় তাঁর (জি কে শামীমের) যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। এই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল বিচারাধীন। এ পর্যায়ে তাকে খুব সম্ভবত ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশের পর আইন কর্মকর্তা মিতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত জি কে শামীমকে জামিন দিয়েছেন। বিষয়টি জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে নোট দেওয়া হয়েছে।’ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। দণ্ডিত অন্য আসামিরা হলেন জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন। এ ছাড়া চলতি বছর ১৭ জুলাই অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে জি কে শামীমের জব্দ করা ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়। SHARES জাতীয় বিষয়: শামীম
অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি ও মো. নাজমুস সাকিব।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি। পরে আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি কালের কণ্ঠকে বলেন, অস্ত্র মামলায় তাঁর (জি কে শামীমের) যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। এই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল বিচারাধীন। এ পর্যায়ে তাকে খুব সম্ভবত ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশের পর আইন কর্মকর্তা মিতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত জি কে শামীমকে জামিন দিয়েছেন। বিষয়টি জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে নোট দেওয়া হয়েছে।’ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। দণ্ডিত অন্য আসামিরা হলেন জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
এ ছাড়া চলতি বছর ১৭ জুলাই অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে জি কে শামীমের জব্দ করা ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।