তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় নিহতদের একজন বিএনপি নেতা, রিজভীর শোক

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ হয়ে নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন বিএনপি নেতাও রয়েছেন। তাঁর নাম আব্দুর রশিদ ঢালী। তিনি নেত্রকোণা জেলা বিএনপির জেষ্ঠ্য সদস্য ছিলেন।

এক সময় তিনি নেত্রকোণা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও জেলা যুবদলের নেতাও ছিলেন। 

এ ঘটনায় পরিচয় নিশ্চতি হওয়া অন্য দুজন হলেন নাদিরা আক্তার (৩২) ও তাঁর ছেলে ইয়াছিন রহমান (৩)। নেত্রকোণার সদর উপজেলার বরুনা গ্রামের বাসিন্দা তারা। নিহত বাকি একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

৬৫ বছর বয়সী আব্দুর রশিদ নেত্রকোণা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা। শহরের বড়বাজার এলাকায় তিনি কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গত সোমবার রাতে নেত্রকোণা স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে তেজগাঁও এলাকায় এ নাশকতার শিকার হন তিনি।

 

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে আন্তঃনগর ট্রেনটি রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে এতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের ভাষ্য, এর আগেই ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

আব্দুর রশিদ ঢালীর মৃত্যুতে গণমাধ্যমের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

গতকাল মঙ্গলবার পাঠানো শোকবার্তায় রিজভী বলেন, ‘তেজগাঁওয়ে ট্রেনে দুস্কৃতিকারিদের দেওয়া আগুনে নিহত চারজন যাত্রীর মধ্যে নেত্রকোনা জেলা বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ ঢালীর মৃত্যু প্রমাণ করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দেলনকে দোষারোপের কলঙ্কলেপন করতেই রাষ্ট্রীয় মদদে এই নির্মম কাজটি সংঘটিত করা হয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে এই নাশকতার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে দেশবাসীর বিশ্বাস।

এ ধরনের হৃদয়বিদারক ও মানবতাবিরোধী কাজ কেবলমাত্র অবৈধ ও গণবিরোধী শক্তির ইন্ধন ছাড়া সম্ভব নয়। আমি এই বর্বরোচিত ও মর্মস্পর্শী ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। নিহত আব্দুর রশিদ ঢালীর শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমি আব্দুর রশিদ ঢালীসহ নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’