গুজরাট উপকূলের অদূরে তেলবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩ সংগৃহীত ছবি নিজস্ব প্রতিনিধি ভারতের গুজরাট উপকূলের অদূরে আরব সাগরে আজ শনিবার একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ড্রোন হামলার শিকার জাহাজটির কর্মীদের মধ্যে ২০ জন ভারতীয় নাগরিক ছিল। আজ রাতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি জাহাজ এমভি কেম প্লুটো নামের হামলার শিকার জাহাজটির দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। জাহাজটি পোরবন্দর উপকূল থেকে ২১৭ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জানায়। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি ডর্নিয়ের সামুদ্রিক নজরদারি বিমান হামলার শিকার জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে। এমভি কেম প্লুটো জাহাজটি সৌদি আরবের একটি বন্দর থেকে অপরিশোধিত তেল নিয়ে ভারতের ম্যাঙ্গালুরুর দিকে যাচ্ছিল। ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের দেশের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইইজেড) টহলরত উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ আইসিজিএস বিক্রমকে সঙ্কটে পড়া বাণিজ্যিক জাহাজটির দিকে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজটি এই অঞ্চলের সব জাহাজকে ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটিকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সতর্কও করেছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ড্রোন হামলার শিকার হওয়ার পরে জাহাজটি নিরাপত্তার জন্য এর স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে যাতে তাকে অনুসরণ করা না যায়। উপকূলরক্ষী বাহিনী বলেছে, জাহাজটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা কাজ করছিল। এটি আবার গন্তব্যে এগিয়ে যাওয়ার আগে কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছিল। ভারতীয় নৌবাহিনী গত সোমবার মাল্টার পতাকাবাহী ছিনতাইকৃত কার্গো জাহাজ থেকে একজন আহত নাবিককে সরিয়ে নেওয়ার কয়েকদিন পরই এ ঘটনা ঘটল। আরব সাগরে থাকা এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজে ছয়জন জলদস্যু উঠেছিল বলে জানা গেছে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে কয়েকটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গাজায় হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করছে বলে জানা গেছে। হুতিরা ইসরায়েল লক্ষ্য করে সাগরের ওপর দিয়ে কিছু ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছিল মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ যা ধ্বংস করে দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভূমধ্যসাগরের নৌপথকে নিরাপদ রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ২০ দেশের একটি জোট গঠন করা হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি, বিবিসি SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: গুজরাট উপকূলড্রোন হামলাতেলবাহী জাহাজ
ভারতের গুজরাট উপকূলের অদূরে আরব সাগরে আজ শনিবার একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ড্রোন হামলার শিকার জাহাজটির কর্মীদের মধ্যে ২০ জন ভারতীয় নাগরিক ছিল। আজ রাতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি জাহাজ এমভি কেম প্লুটো নামের হামলার শিকার জাহাজটির দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।
জাহাজটি পোরবন্দর উপকূল থেকে ২১৭ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জানায়। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি ডর্নিয়ের সামুদ্রিক নজরদারি বিমান হামলার শিকার জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে। এমভি কেম প্লুটো জাহাজটি সৌদি আরবের একটি বন্দর থেকে অপরিশোধিত তেল নিয়ে ভারতের ম্যাঙ্গালুরুর দিকে যাচ্ছিল। ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের দেশের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইইজেড) টহলরত উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ আইসিজিএস বিক্রমকে সঙ্কটে পড়া বাণিজ্যিক জাহাজটির দিকে পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজটি এই অঞ্চলের সব জাহাজকে ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটিকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সতর্কও করেছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ড্রোন হামলার শিকার হওয়ার পরে জাহাজটি নিরাপত্তার জন্য এর স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে যাতে তাকে অনুসরণ করা না যায়। উপকূলরক্ষী বাহিনী বলেছে, জাহাজটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা কাজ করছিল। এটি আবার গন্তব্যে এগিয়ে যাওয়ার আগে কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছিল।
ভারতীয় নৌবাহিনী গত সোমবার মাল্টার পতাকাবাহী ছিনতাইকৃত কার্গো জাহাজ থেকে একজন আহত নাবিককে সরিয়ে নেওয়ার কয়েকদিন পরই এ ঘটনা ঘটল। আরব সাগরে থাকা এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজে ছয়জন জলদস্যু উঠেছিল বলে জানা গেছে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে কয়েকটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গাজায় হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করছে বলে জানা গেছে। হুতিরা ইসরায়েল লক্ষ্য করে সাগরের ওপর দিয়ে কিছু ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছিল মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ যা ধ্বংস করে দিয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ভূমধ্যসাগরের নৌপথকে নিরাপদ রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ২০ দেশের একটি জোট গঠন করা হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি, বিবিসি