লুটের টাকা ডামি ভোটে ঢালছে সরকার : রিজভী

প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশের জনগণের কষ্টার্জিত টাকা লুটে বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লুটেরা সরকার। এখন সেই লুটের টাকা ডামি ভোটে ঢালছে তাঁরা। আজকে দেশের অর্থনীতির কী করুণ পরিণতি।’

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং অসহযোগ আন্দোলন সফলে আজ রবিবার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ডে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটির নেতাকর্মীরা।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী এ কথা বলেন। 

বেসকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে’র তথ্য তুলে ধরে রিজভী আরো বলেন, ‘বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলেছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বের করে নেওয়া এ অর্থ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১২ শতাংশের বেশি। ফলে এ অর্থে অনায়াসে বাজেট ঘাটতি মেটানো সম্ভব হতো।’

 

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল ছাড়াই একতরফা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের জনগণ রাজপথে আন্দোলন করছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গায়ের জোরে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেদিকে লক্ষ নেই।

তার লক্ষ্য অমল ধবল ক্ষমতা।’ 

তিনি বলেন, ‘একতরফা ডামি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাঁরা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করছে। আর এসবের দোষ চাপানো হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর ওপর, যা আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস।’

 

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যতই টালবাহানা করুক, কোনো লাভ হবে না। তাদের ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতেই হবে। আজকে শুধু বাংলাদেশের জনগণ নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্ব আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘ ও অস্ট্রেলিয়া এই পাতানো নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং বিএনপির চলমান অসহযোগ আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিয়ে বলছে- ‘আওয়ামী লীগ আর না, ডামি নির্বাচনে ভোট দেব না।’ দেশের জনগণ, ভোটার ও সচেতন নাগরিকদের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা নিজে ভোট বর্জন করুন এবং ভোট বর্জনে অন্যকে উৎসাহিত করুন।’

মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু, সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরীফুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সাজ্জাদ, সহসভাপতি ফারুক আহমদ, জেলার সহসভাপতি মুঞ্জুরুল ইসলাম, চান্দিনা উপজেলার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মেঘনা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কেফায়েত উল্লাহ, মেঘনা বিএনপি নেতা সেকান্দর হোসাইন, কাজল, মহিউদ্দিন, সোহাগসহ বিভিন্ন স্তরের শতাধিক নেতাকর্মী।