আরও ৫ দিন মাঝারি থেকে তীব্র শীত ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৩ ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি আরও অন্তত ৫ দিন মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকবে। যদিও ব্যারোমিটারে দেশের কোথাও মাঝারি বা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ নেই। শুধু তাই নয়, আগের দিন দেশের ৮ অঞ্চলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও তা শুক্রবার ৫ অঞ্চলে নেমে আসে। এদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায়। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতে বিপর্যস্ত শ্রমজীবী মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ছড়িয়ে পড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি। বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঠান্ডায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তিনি খেতে কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) তথ্য অনুযায়ী, শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও আগামী ৫ দিন মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকবে দেশের উত্তর বা রাজশাহী-রংপুর বিভাগ, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল বা খুলনা বিভাগ এবং মধ্যাঞ্চল বা ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে। সিলেট-চট্টগ্রাম বিভাগে তাপমাত্রা তুলনামূলক ভালো থাকবে। বরিশাল বিভাগেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। বিএমডির আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও আবহাওয়ার কয়েকটি পরিস্থিতি মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে। এরমধ্যে প্রথমেই আসে শীতল বাতাসের প্রবাহ। দেশের ভেতরে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিমা বায়ু প্রবাহ বেশ। হিমালয় বা সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আসা এই বায়ু প্রবাহ, যা শুক্রবার ঢাকায় ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার ছিল। দ্বিতীয় বড় কারণ হচ্ছে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া। সাধারণত দিনের তাপমাত্রাকে সর্বোচ্চ বা রাতের তাপমাত্রাকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলা হয়। দিনে সূর্য কিরণ দিলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ যে বাড়ে, তা (শীত) দিনে সূর্যকিরণে কমে আসে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে হয় সূর্য আলো দিতে পারছে না, কিংবা খুবই কম সময়ের জন্য সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে। ফলে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের অনুভূতি বেড়েই চলেছে। এছাড়া কুয়াশার প্রকোপ এবং বাতাসের আর্দ্রতাও শীত বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। এদিকে শীতের সঙ্গে প্রায় সারা দেশে কুয়াশার প্রকোপও অব্যাহত আছে। দুপুরের পর ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় সূর্যের মুখ দেখা যায়। কিন্তু রাত নামতেই দৃশ্যপট পালটাতে থাকে। সারা দেশে মাঝারি বা ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিএমডি। সংস্থাটি আরও বলছে, এই কুয়াশা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সড়ক ও নৌপথের যানবাহন সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। কেননা, কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কম থাকে। শুক্রবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর তা বুধবার ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে শুক্রবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ১৭ ডিগ্রি। অর্থাৎ, ঢাকায় সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য দাঁড়ায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত ১০ ডিগ্রির কম পার্থক্য শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের অনুভূতি ছিল অনেক বেশি। SHARES জাতীয় বিষয়: