নির্বাচনের প্রচার শেষ, এখন ভোটের অপেক্ষা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার সকাল ৮টায়। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করায় আগামী ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সারা দেশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যানুযায়ী, ২৯৯ আসনে এক হাজার ৯৭০ প্রার্থীর মধ্যে এক হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় আসনটিতে নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। বিএনপিসহ নিবন্ধিত ১৬ রাজনৈতিক দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ জন, নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৪৯ জন। নির্বাচনে মোট চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১৪৮টি ও ভোটকক্ষ দুই লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর ৭৮ ধারায় নির্বাচনে প্রচারের সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান এবং কেউ জনসভার আয়োজন করলে সেখানে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এমনকি মিছিল, শোভাযাত্রা বা এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজন বা এতে অংশগ্রহণ করা যাবে না।’ আরপিও অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের প্রচার আজ সকাল ৮টায় শেষ হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে কোনো প্রার্থী জনসভা, পথসভা, মিছিল বা শোভাযাত্রার আয়োজন করতে বা এসবে অংশ নিতে পারবেন না। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার শুরু হয়েছিল। এবার নির্বাচনী প্রচারের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের রেকর্ডসংখ্যক শোকজ, তলব, সতর্ক ও জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হুমকি-ধমকি, হামলা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ নানা আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এসব অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবারও কয়েকজন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থককে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের এ পর্যন্ত ৫৮৯টি শোকজ ও তলব নোটিশ দিয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ১৩১টি এবং সিলেট অঞ্চলে সর্বনিম্ন ২১টি নোটিশ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৮৪ জন প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থক অনুসন্ধান কমিটির কাছে সরাসরি অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছাবে। অবশ্য চার হাজারের বেশি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। যাতায়াত পথ বিবেচনায় এসব কেন্দ্রে আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে গত বুধবার নির্বাচনী মাঠের নিরাপত্তায় মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড সদস্যরা। তাঁরা নির্বাচনী মাঠে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আজ শুক্রবার মাঠে নামছেন। এর আগে ভোটের মাঠের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে ইসি। বৈঠকে বাহিনীগুলোর প্রধানরা পরিস্থিতি ইসিকে অবহিত করেছেন। ইসিও তাঁদের সর্বশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসি ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবেন। এ ছাড়া কিছু এলাকায় বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা। SHARES জাতীয় বিষয়: #নির্বাচন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার সকাল ৮টায়। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করায় আগামী ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ হবে।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সারা দেশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যানুযায়ী, ২৯৯ আসনে এক হাজার ৯৭০ প্রার্থীর মধ্যে এক হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় আসনটিতে নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। বিএনপিসহ নিবন্ধিত ১৬ রাজনৈতিক দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ জন, নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৪৯ জন। নির্বাচনে মোট চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১৪৮টি ও ভোটকক্ষ দুই লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর ৭৮ ধারায় নির্বাচনে প্রচারের সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান এবং কেউ জনসভার আয়োজন করলে সেখানে অংশগ্রহণ করা যাবে না।
এমনকি মিছিল, শোভাযাত্রা বা এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজন বা এতে অংশগ্রহণ করা যাবে না।’ আরপিও অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের প্রচার আজ সকাল ৮টায় শেষ হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে কোনো প্রার্থী জনসভা, পথসভা, মিছিল বা শোভাযাত্রার আয়োজন করতে বা এসবে অংশ নিতে পারবেন না। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার শুরু হয়েছিল। এবার নির্বাচনী প্রচারের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের রেকর্ডসংখ্যক শোকজ, তলব, সতর্ক ও জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হুমকি-ধমকি, হামলা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ নানা আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এসব অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবারও কয়েকজন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থককে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের এ পর্যন্ত ৫৮৯টি শোকজ ও তলব নোটিশ দিয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ১৩১টি এবং সিলেট অঞ্চলে সর্বনিম্ন ২১টি নোটিশ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৮৪ জন প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থক অনুসন্ধান কমিটির কাছে সরাসরি অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছাবে। অবশ্য চার হাজারের বেশি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। যাতায়াত পথ বিবেচনায় এসব কেন্দ্রে আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে গত বুধবার নির্বাচনী মাঠের নিরাপত্তায় মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড সদস্যরা। তাঁরা নির্বাচনী মাঠে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আজ শুক্রবার মাঠে নামছেন। এর আগে ভোটের মাঠের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে ইসি। বৈঠকে বাহিনীগুলোর প্রধানরা পরিস্থিতি ইসিকে অবহিত করেছেন। ইসিও তাঁদের সর্বশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসি ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবেন। এ ছাড়া কিছু এলাকায় বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা।