‘কোনো দোষ ছাড়াই আমার পোলারে ওরা মাইরা ফালাইছে’ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি ‘কোনো দোষ ছাড়াই আমার পোলারে ওরা মাইরা ফালাইছে। যার সন্তান যায়, হেয় জানে, সন্তান হারানোর জ্বালা। আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই।’ গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে এভাবেই বলছিলেন গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন মধুবাগ এলাকায় একটি মাঠের পাশে খুন হওয়া কিশোর আশিক মিয়ার মা শাহনাজ বেগম। সন্তান হারিয়ে তিনি এখন পাগলপ্রায়। এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে এক দল কিশোর এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিহত আশিক মিয়ার পরিবারের অভিযোগ। পরিবার বলছে, হত্যাকাণ্ডে এলাকার বখাটে মইনুদ্দিন, তানভির, জাহাঙ্গীর, বেলাল, রাসেলসহ অন্তত ১১ জন জড়িত। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব কিশোর-তরুণ সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। তুচ্ছ কারণে এলাকার মানুষকে মারধর করে। হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করে না। র্যাব ও পুলিশের তথ্য মতে, শুধু মধুবাগই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বখাটে কিশোর-তরুণদের নিয়ে এমন অনেক অপরাধচক্র গড়ে উঠেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেম নিয়ে বিরোধ, মাদকদ্রব্যসহ নানা অপরাধে অনেক কিশোর-তরুণ জড়িয়ে পড়ছে। সংঘবদ্ধ অপরাধ ঘটাতে তারা গড়ে তুলছে দল, যা ‘কিশোর গ্যাং’ বলে পরিচিত। র্যাব সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মদদ রয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় নিজের অস্তিত্ব বা প্রভাব জাহিরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাণ্ড ঘটায়। যেমন—উচ্চৈঃশব্দে গান বাজানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, পথচারী ও কিশোরী-তরুণীদের উত্ত্যক্ত করা এবং তুচ্ছ ঘটনায় সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়ে বড় ধরনের অপরাধ ঘটানো। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তালিকা অনুযায়ী, রাজধানীতে ৫২টি কিশোর গ্যাং রয়েছে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের অধীন ৩৫ থানা এলাকায় এসব চক্রের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬৯২। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ‘বড় ভাইয়েরা’ এমনকি খুনের মতো ঘটনাও তারা ঘটাচ্ছে। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। গত এক বছরে ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের হাতে অন্তত ২৫ জন খুন হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোর গ্যাং সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ঢাকায়। পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অপরাধীচক্রের নেতা বা সদস্যদের বড় অংশ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। বেশির ভাগ থাকে বস্তি এলাকায়। তবে সঙ্গদোষে অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীও এসব চক্রে জড়িয়ে পড়ে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং মিরপুর বিভাগে। এই বিভাগে ১৩টি কিশোর অপরাধীচক্রের ১৭২ জন সক্রিয় বলে পুলিশের তালিকায় উল্লেখ রয়েছে। তেজগাঁও ও উত্তরায়ও কিশোর গ্যাং তৎপর। র্যাবের তালিকা র্যাবের পক্ষ থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তারের একটি তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে র্যাবের অভিযানে ৩৪৯ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এই অপতৎপরতা রোধে র্যাবের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত এক হাজার ১২৬ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর ভেতর মোট ৪০ জনের মধ্যে ৩০ জনকে অর্থদণ্ড ও ১০ জনকে মুচলেকা দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। SHARES জাতীয় বিষয়: #কিশোর গ্যাং
‘কোনো দোষ ছাড়াই আমার পোলারে ওরা মাইরা ফালাইছে। যার সন্তান যায়, হেয় জানে, সন্তান হারানোর জ্বালা। আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই।’ গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে এভাবেই বলছিলেন গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন মধুবাগ এলাকায় একটি মাঠের পাশে খুন হওয়া কিশোর আশিক মিয়ার মা শাহনাজ বেগম।
‘কোনো দোষ ছাড়াই আমার পোলারে ওরা মাইরা ফালাইছে। যার সন্তান যায়, হেয় জানে, সন্তান হারানোর জ্বালা। আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই।’ গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে এভাবেই বলছিলেন গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন মধুবাগ এলাকায় একটি মাঠের পাশে খুন হওয়া কিশোর আশিক মিয়ার মা শাহনাজ বেগম।
সন্তান হারিয়ে তিনি এখন পাগলপ্রায়। এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে এক দল কিশোর এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিহত আশিক মিয়ার পরিবারের অভিযোগ। পরিবার বলছে, হত্যাকাণ্ডে এলাকার বখাটে মইনুদ্দিন, তানভির, জাহাঙ্গীর, বেলাল, রাসেলসহ অন্তত ১১ জন জড়িত। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব কিশোর-তরুণ সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়।
এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে এক দল কিশোর এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিহত আশিক মিয়ার পরিবারের অভিযোগ। পরিবার বলছে, হত্যাকাণ্ডে এলাকার বখাটে মইনুদ্দিন, তানভির, জাহাঙ্গীর, বেলাল, রাসেলসহ অন্তত ১১ জন জড়িত। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব কিশোর-তরুণ সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়।
তুচ্ছ কারণে এলাকার মানুষকে মারধর করে। হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করে না। র্যাব ও পুলিশের তথ্য মতে, শুধু মধুবাগই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বখাটে কিশোর-তরুণদের নিয়ে এমন অনেক অপরাধচক্র গড়ে উঠেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেম নিয়ে বিরোধ, মাদকদ্রব্যসহ নানা অপরাধে অনেক কিশোর-তরুণ জড়িয়ে পড়ছে।
তুচ্ছ কারণে এলাকার মানুষকে মারধর করে। হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করে না। র্যাব ও পুলিশের তথ্য মতে, শুধু মধুবাগই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বখাটে কিশোর-তরুণদের নিয়ে এমন অনেক অপরাধচক্র গড়ে উঠেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেম নিয়ে বিরোধ, মাদকদ্রব্যসহ নানা অপরাধে অনেক কিশোর-তরুণ জড়িয়ে পড়ছে।
সংঘবদ্ধ অপরাধ ঘটাতে তারা গড়ে তুলছে দল, যা ‘কিশোর গ্যাং’ বলে পরিচিত। র্যাব সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মদদ রয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় নিজের অস্তিত্ব বা প্রভাব জাহিরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাণ্ড ঘটায়। যেমন—উচ্চৈঃশব্দে গান বাজানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, পথচারী ও কিশোরী-তরুণীদের উত্ত্যক্ত করা এবং তুচ্ছ ঘটনায় সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়ে বড় ধরনের অপরাধ ঘটানো। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তালিকা অনুযায়ী, রাজধানীতে ৫২টি কিশোর গ্যাং রয়েছে।
সংঘবদ্ধ অপরাধ ঘটাতে তারা গড়ে তুলছে দল, যা ‘কিশোর গ্যাং’ বলে পরিচিত। র্যাব সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মদদ রয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় নিজের অস্তিত্ব বা প্রভাব জাহিরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাণ্ড ঘটায়। যেমন—উচ্চৈঃশব্দে গান বাজানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, পথচারী ও কিশোরী-তরুণীদের উত্ত্যক্ত করা এবং তুচ্ছ ঘটনায় সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়ে বড় ধরনের অপরাধ ঘটানো। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তালিকা অনুযায়ী, রাজধানীতে ৫২টি কিশোর গ্যাং রয়েছে।
ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের অধীন ৩৫ থানা এলাকায় এসব চক্রের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬৯২। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ‘বড় ভাইয়েরা’ এমনকি খুনের মতো ঘটনাও তারা ঘটাচ্ছে। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। গত এক বছরে ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের হাতে অন্তত ২৫ জন খুন হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোর গ্যাং সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ঢাকায়। পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অপরাধীচক্রের নেতা বা সদস্যদের বড় অংশ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। বেশির ভাগ থাকে বস্তি এলাকায়। তবে সঙ্গদোষে অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীও এসব চক্রে জড়িয়ে পড়ে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং মিরপুর বিভাগে। এই বিভাগে ১৩টি কিশোর অপরাধীচক্রের ১৭২ জন সক্রিয় বলে পুলিশের তালিকায় উল্লেখ রয়েছে। তেজগাঁও ও উত্তরায়ও কিশোর গ্যাং তৎপর। র্যাবের তালিকা র্যাবের পক্ষ থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তারের একটি তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে র্যাবের অভিযানে ৩৪৯ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এই অপতৎপরতা রোধে র্যাবের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত এক হাজার ১২৬ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর ভেতর মোট ৪০ জনের মধ্যে ৩০ জনকে অর্থদণ্ড ও ১০ জনকে মুচলেকা দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের অধীন ৩৫ থানা এলাকায় এসব চক্রের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬৯২। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ‘বড় ভাইয়েরা’ এমনকি খুনের মতো ঘটনাও তারা ঘটাচ্ছে। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। গত এক বছরে ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের হাতে অন্তত ২৫ জন খুন হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোর গ্যাং সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ঢাকায়। পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অপরাধীচক্রের নেতা বা সদস্যদের বড় অংশ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। বেশির ভাগ থাকে বস্তি এলাকায়। তবে সঙ্গদোষে অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীও এসব চক্রে জড়িয়ে পড়ে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং মিরপুর বিভাগে। এই বিভাগে ১৩টি কিশোর অপরাধীচক্রের ১৭২ জন সক্রিয় বলে পুলিশের তালিকায় উল্লেখ রয়েছে। তেজগাঁও ও উত্তরায়ও কিশোর গ্যাং তৎপর। র্যাবের তালিকা র্যাবের পক্ষ থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তারের একটি তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে র্যাবের অভিযানে ৩৪৯ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এই অপতৎপরতা রোধে র্যাবের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত এক হাজার ১২৬ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর ভেতর মোট ৪০ জনের মধ্যে ৩০ জনকে অর্থদণ্ড ও ১০ জনকে মুচলেকা দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।