ডাব্লিউসিওর সম্মাননা পেল কৃষি মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মিলনায়তনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাব্লিউসিও ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট’ সম্মাননা গ্রহণ করেন। ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউসিও) ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট’ সম্মাননা পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মিলনায়তনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা সনদ গ্রহণ করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। এ সময় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন। আন্তজাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে সম্মাননাটি দেওয়া হয়।

পুরস্কার গ্রহণ করে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ অর্জন দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, স্বয়ংক্রিয়করণসহ এ খাতে সংস্কার সাধনের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য সহজীকরণ; এবং তেল, পেঁয়াজ ও কৃষি যন্ত্রপাতির আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার অনন্য স্বীকৃতি। এর মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয় যে সম্মান অর্জন করছে তা আগামী দিনগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রেখে একটি কার্যকর উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক মানের বিপণন ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে আমাদের উৎসাহিত করবে।’

নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশের কৃষিখাতে অর্জিত অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরেন কৃষি সচিব। তিনি বলেন, ‘উৎপাদনযোগ্য জমি ক্রমহ্রাস পেলেও কৃষিতে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির প্রয়োগ ও উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষাবাদের কারণে এবং কৃষকের শ্রমে কৃষিতে এ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

আর এর ফলে বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আমরা দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত শাক-সবজি ও ফল বিদেশে রপ্তানি করছি।’ 

কৃষিসচিব আরো বলেন, বিগত কয়েক বছরে কৃষিপণ্য রপ্তানির চিত্র থেকে দেখা যায়, করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটেও আমরা প্রতি বছরই কম-বেশি প্রায় ১০০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি কৃষকদের প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে ডাল ও তৈল জাতীয় ফসল এবং পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হয়েছি, যা এক দিকে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভূমিকা রাখছে।

অন্যদিকে এ সকল পণ্যের সাপ্লাই ক্রাইসিস ব্যবস্থাপনা সহজতর করেছে।’ 

ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় এখন উৎপাদন ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছে। রপ্তানি বৃদ্ধি ও আমদানি প্রক্রিয়া টেকসই করার কাজ চলছে। বংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানির সামগ্রিক প্রক্রিয়া এখনো সুসংগঠিত নয়। সে জন্য আমরা গোটা ট্রেড ইনফরমেশন সিস্টেমটাকে সাজিয়ে রপ্তানিকারকদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলছি।’

 

রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা কামনা করে সচিব আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক এসআরও ১২৯-এর আওতায় বিদ্যমান সুবিধার অতিরিক্ত আরো ৪০টি আইটেমে শুল্ক সুবিধা প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃষি যন্ত্রপাতি, প্যাক হাউজ তৈরির যন্ত্রপাতি, কৃষিপণ্যের প্যাকিং ম্যাটেরিয়ালস, ল্যাবরেটরি যন্ত্রপাতি, কুল চেইন প্রতিষ্ঠা সংশ্লিষ্ট মেশিনারিজ ও যানবাহন, ইত্যাদির শুল্ক কর ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা, কৃষি উপকরণ ছাড়করণের ক্ষেত্রে বন্ড সুবিধা প্রদান এবং পণ্য ‘রি-এক্সপোর্টের’ (পুনঃরপ্তানি) সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন।’